সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা গুরুতর অসুস্থ। তাই তাঁর দেখভালের জন্য জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি পেল ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু বাবা রাম রহিম। শুক্রবার তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপর হরিয়ানার (Haryana) রোহতকের (Rohtak) সুনারিয়া জেল থেকে কড়া পুলিশি প্রহরায় গুরুগ্রামে মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, দুই সাধ্বীকে ধর্ষণ এবং সাংবাদিককে খুনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছে রাম রহিম। ২০১৭ সাল থেকেই জেলবন্দি সে।
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ রাম রহিমের মা। তাই মায়ের দেখভাল করতে ১৮ মে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানায় সে। জেল কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও জমা দেওয়া হয় তার পক্ষ থেকে। এরপরই জেল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করে হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে। তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি মেলার পরই ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত রাম রহিমকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়েই গুরুগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। তবে ঠিক কতদিনের জন্য মুক্তি পেয়েছেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে রাম রহিমের এভাবে মুক্তির পরই আবার সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই নিয়মকানুনকে সমালোচনায় বিদ্ধও করেছেন।
[আরও পড়ুন: তামিলনাডুতে তৈরি হল করোনা দেবীর মন্দির! অতিমারী থেকে বাঁচতে শুরু আরাধনা]
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগে গতবছরও একদিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন রাম রহিম। যা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এক সপ্তাহ আগেই শারীরিক অসুস্থতার জন্য হাসপাতালেও ভরতি করা হয়েছিল রাম রহিমকে। রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিল সে। এছাড়া মাথা ঘোরানোর অভিযোগও করেছিল স্বঘোষিত ধর্মগুরু। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ডেরা সাচ্চা সৌদার দুই সাধ্বীর চিঠিতে রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সামনে আনার জেরে খুন হতে হয় এক সাংবাদিককে। এরপর নির্যাতিতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে চলা দুটি মামলার জেরে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।