অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রায় সাড়ে তিনমাস জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবারই মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। আর তার পরদিনই জামিনের আবেদন প্রাক্তন মন্ত্রীর। এই প্রথমবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন জানান তিনি। আবেদনের পক্ষে দুটি যুক্তি দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। নিজেকে অসুস্থ বলেই উল্লেখ করেন জ্যোতিপ্রিয়। এছাড়া রেশন দুর্নীতি মামলায় যোগও অস্বীকার করেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি জ্যোতিপ্রিয়র জামিনের আবেদন মামলার শুনানি।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর সল্টলেকের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে পড়েন বলেই অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সময় বনদপ্তর এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান ও শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে জেলবন্দি থাকার পর শুক্রবারই মন্ত্রিত্ব হারান বালু।
[আরও পড়ুন: সিংহী ‘সীতা’র নাম নিয়েও ‘নোংরা’ রাজনীতি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে তোপ বনমন্ত্রী বীরবাহার]
ভারতীয় সংবিধানের ১৬৬(৩) ধারা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে রাজভবনের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। তার পরদিনই কলকাতা নগর দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন জানান জ্যোতিপ্রিয়। মন্ত্রিত্ব হারানোর পর প্রভাবশালী তকমা ঘুচে গিয়েছে বলেই কি জামিনের আবেদন, বিভিন্ন মহলে উঠছে প্রশ্ন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি। সেদিনই ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে জ্যোতিপ্রিয়র।
এদিকে, শনিবার বনগাঁর প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের মামলারও শুনানি ছিল। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইডির বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলে আদালতে চিঠি দিয়েছিলেন শংকর। তাঁকে ভয় দেখিয়ে বয়ান লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। বেশ কয়েকটি বয়ান প্রত্যাহারের দাবিও জানান ধৃত তৃণমূল নেতা। যদিও শংকরের বিস্ফোরক দাবির বিরোধিতা করে ইডি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ মার্চ।