অর্ণব আইচ: ইডি’র তলবে সাড়া। নির্ধারিত সময়মতো বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির স্ক্যানারে কামারহাটির পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতা। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তিনি।
শ্বেতা কামারহাটির পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। অয়নের প্রোডাকশন হাউসে কাজ করতেন শ্বেতা। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, অয়ন শীল তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ শ্বেতাকে গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। শ্বেতার দাবি, তিনি পারিশ্রমিক হিসাবে পেয়েছিলেন। এছাড়া শ্বেতার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। তাঁর নামে জমিও কিনেছিলেন অয়ন শীল। সেই সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতেই অয়ন ‘ঘনিষ্ঠ’ শ্বেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডি’র।
[আরও পড়ুন: তীব্র গরমে আইনজীবীদের পোশাকে বদল, কী সিদ্ধান্ত নিলেন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি?]
শ্বেতার দাবি, গত ২০১৭ সালে অয়নের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেই সময় অয়নের প্রোডাকশন হাউসের হয়ে বেশ কয়েকটি কাজ করেছিলেন। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কবাডি কবাডি’ ছবিতে প্রযোজক ছিলেন অয়ন। সেই ছবিতে ডেবিউ করেন শ্বেতা। মডেল-অভিনেত্রীর দাবি, মুক্তি না পাওয়া ওই ছবিতে কাজের জন্য পারিশ্রমিক ছাড়া এক পয়সাও নেননি। তবে অয়নের একটি গাড়ি তিনি ব্যবহার করতেন, তা আগেই স্বীকার করে নেন শ্বেতা। ইডি’র জেরায় কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।