সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবাসা যতটা মধুর, বিচ্ছেদের বেদনা ততটাই তিক্ত। এই তিক্ততা মনকে করে তোলে অশান্ত। ঠিক-বেঠিকের হিসেব তখন থাকে না। আবেগের তুমুল জোয়ার ভাসিয়ে নিয়ে যায় বিপথে। যে পথে চলার আফশোস হয়তো সারাজীবন থেকে যেতে পারে। মুহূর্তের আবেগে এমনই কিছু বোকামি ঘটিয়ে ফেলেন অনেকে। সেসব থেকে সাবধান হোন –
১) ব্রেক-আপ মনকে এতটাই অন্ধ আক্রোশে ভরিয়ে দেয়, যে তার পরিণাম মারাত্মক হতে পারে। ক্ষণিকের সুখ পেতে অন্য পুরুষ বা মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেকে। ভালবাসাহীন এই যৌনতা বিরক্তি আরও বাড়িয়ে দেয়।
২) বিচ্ছেদের পর আচমকাই অনেকের মধ্যে ‘দেবদাস’ কিংবা ‘কবীর সিং’ সত্ত্বা জেগে ওঠে। তাঁদের একমাত্র কাজ থাকে সুরাপান। গলা পর্যন্ত সুরায় ভরিয়ে দেওয়া যাতে অতীতের কথা কিছু মনে থাকে না। এতে লিভারের তো ক্ষতি হয়। মনের ব্যথারও আদতে কোনও উপশম হয় না।
৩) আবার অনেকে ব্রেক-আপের পর নিজের সম্পর্কে বেশি সচেতন হয়ে যান। বাইরে ভাল থাকার দেখনদারির চুর চেষ্টা করেন। নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরতে গিয়ে আবার সাধের মুখেরই বিকৃতি ঘটিয়ে ফেলেন। বহিরাঙ্গের এই বিচিত্র চেহারা অন্তরের বিষাদকে কিন্তু বেশি করে ফুটিয়ে তোলে।
[আরও পড়ুন: যৌনতার থেকেও অন্তরঙ্গ বালিশে মাথা রেখে গপ্প, কেন এ কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা?]
৪) কারও কারও আত্মবিশ্বাস এতটাই কমে যায়, রাস্তায় যাঁকেই দেখেন ভাবতে শুরু করেন, সেই কি তাঁর ভবিষ্যৎ প্রেমিক বা প্রেমিকা হতে পারে? এমন সময় পথচলতি যে কাউকে সম্ভাব্য মনের মানুষ মনে হতে পারে। কিন্তু ও পথে হাঁটবেন না, তাতে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি।
৫) জোর করে নিজের জীবনযাপনের পদ্ধতি পালটাতে চান অনেকে। নিজেকে খুশি রাখার চেষ্টা এমন কিছু করার চেষ্টা করেন, যা সাধ্যের বাইরে। পরে এই ব্যর্থতা আরও বেশি কষ্ট দেয়।
৬) প্রাক্তনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক করেন অনেকেই। এমনকী নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পরও। এই অভ্যাস খুবই কষ্টদায়ক। অতীতের সঙ্গ না ছাড়তে পারলে নতুন পথে পা বাড়াতে পারবেন না। প্রত্যেক ভালবাসার মূল্য আছে। ভবিষ্যৎকে সেই মূল্য দিতে না পারলে বর্তমানও বিগড়ে যাবে।