সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তানদের নিয়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে কৈলাস থেকে উমার বাপের বাড়ি ফেরার আগে গণেশ আসবেন মর্ত্যে৷ তবে কোভিড পরিস্থিতিতে গণেশ পুজো (Ganesh Puja) উপলক্ষে চলতি বছরে জাঁকজমক কিছুটা কম। শুধু এই রাজ্যই নয়। মহারাষ্ট্র, গোয়া, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটক-সহ সর্বত্রই ম্লান গণপতি বাপ্পার আরাধনার জৌলুস।
হিন্দু চন্দ্র-সৌর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভাদ্র মাসে যা সাধারণত ইংরাজির আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে গণেশ পুজোর আয়োজন করা হয়। গণপতি, বিনায়ক এবং বিঘ্নহন্তার মতো নানা নাম রয়েছে গণেশের। বলা হয়, গণেশ পুজো বাদ দিয়ে কোনও পুজোই সম্পূর্ণ হয় না। গণেশ ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতীর দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, দেবী পার্বতী গণেশের সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাঁকে পার্বতীর দরজা পাহারা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিব ফিরে এসে পার্বতীর ঘরে ঢুকতে গেলে গণেশ তাঁকে বাধা দেন। একটি ছোট ছেলের এই আস্পর্ধা দেখে শিব রেগে যান। শিবের সঙ্গে গণেশের যুদ্ধও শুরু হয়। তখন রাগের বশবর্তী হয়ে শিব গণেশের মাথা কেটে ফেলেন। গণেশের মুণ্ডহীন দেহ দেখে পার্বতী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে বলেন শিবকে। তখন অন্য দেবতাদের শিব নির্দেশ দেন, উত্তর দিকে গিয়ে যার মাথা আগে দেখতে পাবে সেই মাথাই কেটে নিয়ে আসতে। দেবতারা প্রথমেই একটি হাতি পেয়ে তারই মাথা নিয়ে আসে। সেই মাথাটিই গণেশের দেহে বসিয়ে দেন শিব।
[আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা তিথির গুরুত্ব জানেন? শুভ শক্তির আগমন ঘটাতে এই কাজগুলি করুন]
গণেশ যে খেতে ভালবাসেন তা সকলেরই জানা। বিশেষ করে লাড্ডু আর মোদক তাঁর প্রিয়। মোদক হল চালের গুঁড়ো এবং নারকেলের পুর দিয়ে তৈরি বিশেষ মিষ্টি। গণেশ পুজোর ঠিক আগে মহারাষ্ট্রের মিষ্টির দোকানে এই মোদকের নানা বৈচিত্র্য দেখতে পাওয়া যায়। মোদকের চাহিদাও প্রায় আকাশছোঁয়া। আরেকটি জনপ্রিয় মিষ্টি করঞ্জি। মোদকের মতোই দেখতে, খেতেও খানিক একই। গোয়াতে এই মিষ্টিকে ডাকা হয় নারভি নামে। গণেশকে বলা হয় বিঘ্নহর্তা অর্থাৎ যিনি বাধাবিপত্তি নাশ করেন। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নানা বিপত্তি থেকে মুক্তি পেতেই ভক্তরা এই পুজো করেন।
[আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীর দিন এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না, হতে পারে মহাবিপদ]
The post গণপতি বাপ্পার আরাধনার আগে জেনে নিন মাহাত্ম্য appeared first on Sangbad Pratidin.