সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল থেকে কর্পোরেট অফিস সর্বত্রই রয়েছে নির্দিষ্ট ড্রেস কোড। কিন্তু মন্দিরে? সেখানেও কি থাকতে পারে নির্দিষ্ট পোশাক বিধি? নতুন করে সেই প্রশ্ন উসকে দিল কর্ণাটকের (Karnataka) এক ধর্মীয় পরিষদ। বিজেপি শাসিত রাজ্যের ২১১টি মন্দিরের উপরে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:নজরদারি চালানোর দায়িত্ব ওই পরিষদের উপরে। এবার সেই পরিষদের তরফে একটি ফরমান জারি করতে চলেছে। আর তাতে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই ‘হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই পোশাক’ পরে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে।
এখানেই শেষ নয়, মহিলাদের ক্ষেত্রে শাড়ি পরার পাশাপাশি এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন বক্ষদেশ পুরোপুরি ঢাকা পড়ে শাড়িতে। হরিনারায়ণ আসরান্না নামের এক পুরোহিত এপ্রসঙ্গে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ”আমরা সমস্ত ভক্তদের কাছে আরজি জানিয়েছি, তাঁরা যেন হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই পোশাক পরেন। মহিলাদের শাড়ি পরাই বাঞ্ছনীয়। এবং সেটাও এমনভাবে পরতে হবে যাতে তা বক্ষদেশ পুরোপুরি ঢেকে রাখে। পুরুষদের পোশাক কী হবে তা এখনও আমরা ঠিক করিনি।”
[আরও পড়ুন: দলের জাতীয় কার্যসমিতি থেকে বাদ! টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিজেপির নাম মুছলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী]
ওই পুরোহিতের বক্তব্যের পাশাপাশি বজরং দলকেও মন্দিরের দেওয়ালে পোস্টার লাগাতে দেখা গিয়েছে। সেই সব পোস্টারের বক্তব্য, পোশাক সংক্রান্ত নির্দেশিকা যেন মেনে চলা হয়। জানা গিয়েছে, কর্ণাটক সরকারের কাছ থেকে চূড়ান্ত সম্মতি পাওয়ার পরই ওই নির্দেশিকা জারি করা হবে।
কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার এহেন নির্দেশিকার খবর ঘিরে ইন্টারনেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, ”আচমকাই আমি আবিষ্কার করলাম আমি ১৮৯০ সালে বসবাস করছি।” কেউ আবার লিখেছেন, ”পুরুষদের নিজের উপরে আত্মবিশ্বাস কম থাকার কারণেই এই ধরনের ফরমান জারি করা হয়।” পাশাপাশি কেউ আবার লিখেছেন, ”এটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। সমস্ত হিন্দু মন্দিরে এই নিয়ম জারি করা হোক।” সেই সঙ্গে কোনও কোনও নেটিজেন জানতে চেয়েছেন, পুরুষদের জন্য কি বিশেষ পোশাক থাকছে? তাঁরাও কি সম্পূর্ণ শরীর ঢেকেই মন্দিরে আসবেন?