সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপারে গমন করেছেন ৩৯টি বসন্ত পেরিয়েছে। আজও বাঙালির মননে উত্তম কুমার আবেগ এতটুকুও অমলিন হয়নি। মুখো গোঁজা সিগারেট, একমেবাদ্বিতীয়ম অ্যাটিটিউডে তিনিই সেরা। তিনি অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়ায় যেই ব্যক্তির নামই যথেষ্ট। তখনও ছিল। আজও রয়েছে। কারণ, বাংলা স্বর্ণযুগের সিনেমার সেরা আবিষ্কার এই ‘মহানায়ক’। অপলক আকর্ষণীয় চাহনি৷ ঠোঁটের কোণের মিষ্টি হাসি৷ দুর্দান্ত অভিনয়… এটুকুই যথেষ্ট উত্তম কুমার আবেগটাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। কত মোহমোয়ী তাঁর মোহে মুগ্ধ হয়ে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন এককালে। আজ ৩ সেপ্টেম্বর৷ সেই মহানায়কের জন্মদিন৷ বেঁচে থাকলে ৯৪টি বসন্ত পার করতেন। বিভিন্ন ছবিতে উত্তম কুমারের লুক আজও প্রশংসিত।
[আরও পড়ুন: “চুরি করলেই যখন একটু ভাল ভাবেই করতে”, ‘সাহো’কে তীব্র ভর্ৎসনা ফরাসি পরিচালকের]
না, জন্মদিন বলেই কলমের আঁচড় পড়েনি তাঁকে নিয়ে। আসলে প্রিয় শিল্পী হোক কিংবা প্রিয় মানুষ, তাঁদের নিয়ে আদিখ্যেতা করার কিংবা ভালবাসা জাহির করার একটা দিনের দরকার হয়। আর অলিখিতভাবে সেই দিনটি উদযাপন করার যাবতীয় দায় বর্তায় জন্মদিন আর মৃত্যুদিনের উপর।
১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। ভবানীপুরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছিলেন অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা বন্দরে কেরানির চাকরি নিয়েছিলেন। কিন্তু, ছোট থেকে নিজেকে বড় পর্দায়ই দেখতে চেয়েছিলেন অরুণ। সেই হাতছানিতে সাড়া দিয়েই অবশেষে স্টুডিও পাড়ায় পা রাখেন ভবানীপুরের অরুণ৷ পরে নাম বদলে হন উত্তম কুমার৷ প্রথম ছবি ‘মায়াডোর’ মুক্তি ন পেলেও দমে যাননি উত্তম৷ পরপর আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু একটিও চলেনি। শেষপর্যন্ত, ‘বসু পরিবার’ থেকেই প্রথম সাফল্যের স্বাদ পান উত্তম৷
১৯৫৩ সালে মুক্তি পায় ‘সাড়ে চুয়াত্তর’। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি৷ বাংলা চলচ্চিত্রে শুরু হয় উত্তম যুগ। পাঁচ ও ছয়ের দশকে ‘হারানো সুর’, ‘পথে হল দেরী’, ‘সপ্তপদী’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘বিপাশা’, ‘জীবন তৃষ্ণা’ ছবির মতো কালজয়ী সব ছবিতে তাঁর অভিনয় আজও ভুলতে পারেননি সিনেমাপ্রেমীরা। বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার। তাঁর অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘ছোটিসি মুলাকাত’, ‘অমানুষ’, ‘আনন্দ আশ্রম’ দর্শকদের মন কেড়েছে৷ ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’, ‘সন্ন্যাসী রাজা’য় উত্তমের লুক আজও প্রশংসিত।
[আরও পড়ুন: হিমেশের সুরে ৩ নম্বর গান রেকর্ড, এবার ‘আশিকি মে তেরি’-র রিমেক গাইলেন রানু]
‘ওগো বধূ সুন্দরী’-র শুটিং চলাকালীন ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই প্রয়াত হন উত্তমকুমার৷ ইহলোক ছেড়ে চলে গিয়েছেন ঠিকই৷ কিন্তু আজও মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে সদাহাস্য সরলতা মাখা মনে-প্রাণে বাঙালি উত্তম কুমারের মুখখানা।
The post ৯৩-এ উত্তম কুমার, জন্মদিনে ফিরে দেখা মহানায়ককে appeared first on Sangbad Pratidin.