সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন মামলার শুনানি (RG Kar Case Hearing) চলছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে শুনানি। মামলার লাইভ সম্প্রচার বন্ধের আর্জি রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের। ধর্ষণ ও অ্যাসিড হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেই যুক্তিতেই সরাসরি সম্প্রচার বন্ধের আর্জি। যদিও সেই আর্জি মানতে নারাজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি শুরুর পর কিছুটা সময় চেয়ে নেন কপিল সিব্বল। প্রধান বিচারপতি বলেন, “নির্দেশ অনুযায়ী বলবেন। কেউ হঠাৎ বলতে উঠবেন না।” তার পরে রাজ্যের আইনজীবী প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের কাছে শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধের আর্জি জানান। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মহিলা আইনজীবীদের সোশাল মিডিয়ায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের একটা ভাবমূর্তিরয়েছে। বলা হচ্ছে, আমরা নাকি কোর্টে হাসাহাসি করছি। ধর্ষণ এবং অ্যাসিড ছোড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” এর পর প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "কাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে? এই মামলার সঙ্গে যুক্ত কাউকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।" প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানান, "এটি জনস্বার্থ মামলা। তাই লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ হবে না।"
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে ছিল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। সম্প্রতি টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও চিকিৎসক খুন-ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলারই সুপ্রিম শুনানি চলছে। মঙ্গলবারের সুপ্রিম শুনানিতে আর কী কী জানায় আদালত, সেদিকে নজর গোটা দেশের।