সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস পরিণতির ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হোক, সেই দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন করেছেন ডাক্তার থেকে আমজনতা। এবার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব অপূর্ব চন্দ্র। সেই চিঠিতে রয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে এই নির্দেশিকা মেনে নিতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত ২৮ আগস্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সমস্ত রাজ্যের প্রতিনিধিরা। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে, সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। তার পরেই ১১টি নির্দেশিকা-সহ প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। নিরাপত্তার জন্য বিশেষ অডিট থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। স্থানীয় পুলিশও যেন অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত শুরু করে, সেটিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ১৫-১৬ মাসেও ফেরেনি শান্তি, নীরব দর্শক কেন্দ্রীয় বাহিনী ! তোপ মণিপুরের বিজেপি বিধায়কের]
মোট ১১টি নির্দেশিকা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। সেখানে বলা হয়েছে, হাসপাতালের যে অঞ্চলগুলো বিপজ্জনক, সেগুলো চিহ্নিত করে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে একজোট হয়ে নিরাপত্তা অডিট করতে হবে। বাড়াতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে স্থানীয় পুলিশের কাছে সেই অভিযোগ দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ানো দরকার নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও।
উল্লেখ্য, কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এই টাস্ক ফোর্স তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে শীর্ষ আদালতে। জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে থাকবেন কেন্দ্রীয় সচিবরা। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্যবিভাগের সচিবদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে তাঁদের। তার পরেই ১১ দফা নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব।