সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর হামলার আশঙ্কা করে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন কুণাল ঘোষ। তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই অডিও ক্লিপের (RG Kar Viral Audio) সত্যতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। গ্রেপ্তারির পর শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেকথা জানিয়ে দিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অনীশ সরকার।
তিনি জানান, "ভাইরাল অডিওতে দুজনের মধ্যে কথোপকথন শোনা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন সঞ্জীব দাস, হালতুর বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেকজন কলতান দাশগুপ্ত, ডিওয়াইএফআই নেতা। ওই অডিও সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়েছে। আমরা তার সত্যতা যাচাই করে দেখেছি। অডিওর সত্যতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।"
পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ধৃত সঞ্জীব ইতিমধ্যেই নাকি স্বীকার করে নিয়েছে ওই ভাইরাল অডিওতে তাঁর গলা শোনা গিয়েছে। ডিসি আরও বলেন, "তদন্তের সময় তাদের স্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখব। আইনানুগ পদ্ধতিতে তদন্ত হবে। অডিওতে আমরা আরও তিনজনের নাম পেয়েছি। সাহেব, দাদু এবং বাপ্পা। তাঁরা কারা, এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে তাঁরা কীভাবে যুক্ত, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।"
উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষের প্রকাশ করা গত শুক্রবারের অডিও বার্তায় শোনা গিয়েছে, "সাহেব অর্ডার করেছে সল্টলেক ওড়ানোর জন্য।" দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেন, "অর্ডার হলে করে দে।" এর পর প্রথম ব্যক্তি বলেন, "যারা পার্টনার আছে সবাই প্রশ্ন করছে।" দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেন, "কিছু ভেবেই তো বলেছে।" প্রথম ব্যক্তি বলেন, "আমি এত বছর এই কাজ করেছি, কোনওদিন ভয়ডর লাগেনি। কিন্তু এখন এটাতে বিবেকে লাগছে। করাটা কি ঠিক হবে? ওরা তো লোকের জীবন বাঁচায়।" এর পরই দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেন, "তোকে তো ফাইট টু ফিনিশ করতে বলেনি।" প্রথম ব্যক্তির উত্তরে বলেন, "ছেলেরা মদ খেয়ে যায়। মারতে গিয়ে বেহাত যদি কিছু হয়ে যায়, সেটা তো চিন্তার বিষয়।" দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেন, "সেটা ওকে বল, আমার এমন মনে হচ্ছে, কী করব?" প্রথম ব্যক্তি বলেন, "বাপ্পাদাকে পার্সোনালি জিজ্ঞেস করেছিলাম। বাপ্পাদা বলল, জানোয়ার হয়ে যায়নি এখনও।" দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেন, "ওই মতো করেই কর।"
দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেন, "দাদু বলছে, নবান্নে মিটিং হয়নি। ওরা তো সল্টলেকে ফেরত চলে আসছে। ভাববে শাসকেরা মারটা মেরেছে।" তার পরই দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেন, "কী বলল কথাটা বুঝেছ? বলছে, পুরো দোষটা দিয়ে আরও অশান্তিটা পাকানো যাবে। তবে কলকাতার কাউকে দিয়ে নয়। বাইরের লোক।" প্রথম ব্যক্তি বলেন, "ঠিক আছে দেখছি। কী করব? মাথা ফাটানোটা কি ঠিক হবে?" দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেন, "দেখ, খানিকটা যদি কিছু করা যায়।" এই অডিও ভাইরাল হওয়ার পরই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।