সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন অনেক কিছুর উপর থেকেই পর্দা উঠে দিয়েছে। তা বলে প্রকাশ্যে যৌনতা নিয়ে আলোচনা? নৈব নৈব চ। কিন্তু, ঘটনা হল, যে দেশে যৌনতা এতটাই গোপনীয় বলে মনে করা হয়, সেই দেশেই আবার ধর্ষণের মতো যৌন নিপীড়নের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। কড়া আইন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসন। তাহলে কি জনসংখ্যায় মহিলাদের অনুপাত কমে যাওয়া বা স্বাভাবিক নিয়মে যৌন চাহিদা পূরণ না হওয়ার সঙ্গে ধর্ষণের মতো অপরাধে কোনও সম্পর্ক আছে? কেন্দ্র ও তামিলনাড়ু সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট।
[স্কুলের অনুষ্ঠানে আলিঙ্গন, ছাত্র-ছাত্রীকে তাড়াল স্কুল]
শুধু আমাদের রাজ্যেই নয়, সারা দেশেই মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো অপরাধ বাড়ছে। এমনকী, বিকৃত যৌন লালসার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ফুলের মতো শিশুরাও। দিন কয়েক আগেই কলকাতার একটি নামী বেসরকারি স্কুলের চার বছরের পড়ুয়াকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল স্কুলেরই দুই শিক্ষককে। ধর্ষণের মতো অপরাধ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন মাদ্রাজ হাই কোর্ট। কেন্দ্র, তামিলনাড়ু সরকার ও জাতীয় মহিলা কমিশনের মতো সংগঠনগুলির কাছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি এন কিরুবাকরণ। তিনি জানতে চান, দেশের জনসংখ্যায় মহিলাদের অনুপাত কমে যাওয়া বা স্বাভাবিক নিয়মে যৌন চাহিদা না মেটার কারণেই কি ধর্ষণে মতো অপরাধ বাড়ছে? আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে কেন্দ্র, তামিলনাড়ু সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানানো নির্দেশ দিয়েছেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘অসম্মানজনক ও মর্যাদাহানিকর তো বটেই, যৌন নিপীড়নে ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারও ক্ষুন্ন হয়। এই ধরণের ঘটনা নির্যাতিতার মনে গভীর ক্ষত তৈরি করে। সারাজীবনে ধরে যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়।’ ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর দেশে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন আরও কঠোর করেছে সরকার। অপরাধ প্রমাণিত হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু, তাতেও অপরাধে লাগাম পড়াতে কার্যত ব্যর্থ প্রশাসন। মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি এন কিরুবাকরণ বলেছেন, গোটা বিষয়টি সমাজতাত্ত্বিক ও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে বিশ্লেষণ করে দেখা দরকার।
[হাই প্রোফাইল দেহব্যবসার পর্দাফাঁস, ধৃত টলি নায়িকা ও বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রী-সহ ৫]
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুতে ধর্ষণের মতো অপরাধের হার উর্ধ্বমুখী ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে মাদ্রাজ হাই কোর্ট। সেই মামলা শুনানিতে মদ্যপানে আসক্তি, স্বাভাবিক নিয়মে যৌন চাহিদার না মেটা, মহিলাদের মতো ধর্ষণে্র সম্ভাব্য একাধিক কারণ উল্লেখ করেন বিচারপতি এন কিরুবাকরণ। আগামী ১০ জানুয়ারি কেন্দ্র, তামিলনাড়ু সরকার ও জাতীয় মহিলা কমিশনে্র মতো সংগঠনগুলির ব্যাখ্যা তলব করেছে আদালত।
[পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল ওড়িশা সরকার]
The post অতৃপ্ত যৌন বাসনার কারণেই কি বাড়ছে ধর্ষণ? প্রশ্ন মাদ্রাজ হাই কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.