সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিপাড়ার আনাচে-কানাচে এ অভিযোগ বরাবরই ঘোরে ফেরে। বলা হয়, কোনও এক অভিনেতাকে হারাতে আর একজন নাকি পয়সা দিয়ে ট্রফি কেনেন। তা নিয়ে বিস্তর হাসি মশকরাও হয়। কিন্তু তা যে কতখানি সত্যি তা জানিয়ে দিলেন ঋষি কাপুর। আত্মজীবনীতে সাফ জানিয়ে দিলেন, অমিতাভকে হারাতে পয়সা দিয়েই ট্রফি কিনেছিলেন তিনি।
(পরকীয়ায় মজে রাজ কাপুর, ঘর ছাড়তে হয়েছিল স্ত্রীকে!)
অমিতাভের ‘জঞ্জির’ ও ঋষি কাপুরের ‘ববি’ মুক্তি পেয়েছিল একই বছরে। দু’টোই ছিল সুপারহিট ছবি। এক বিখ্যাত পত্রিকার বিচারে সেরা অভিনেতার ট্রফি সেবার যে কেউ পেতে পারতেন। এদিকে অমিতাভের সঙ্গে ঋষির সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না। ‘কভি কভি’ ছবির সেটে তাঁরা তেমন কথাবার্তাও বলতেন না। কোনও ছবিতেই অমিতাভ নাকি তাঁর সহ-অভিনেতাদের কথা তেমন বলতেন না। যা না-পসন্দ ছিল ঋষির। এছাড়া একই সময়ের দুই অভিনেতা হলেও যেভাবে অমিতাভের সঙ্গে ক্রমাগত তুলনা চলত, তাতেও বিরক্ত তিনি। এই রকম বৈরিতার আবহেই ঋষির কাছে প্রস্তাব আসে, যদি তিরিশ হাজার টাকা দেওয়া হয় তবে সেরা অভিনেতার ট্রফি তাঁকেই দেওয়া হবে। ঋষির সেক্রেটারিও তাতে সায় দেন। টাকা দিয়েই সেবার পুরস্কার কিনেছিলেন ঋষি। অনেক পরে এ কথা জানতে পেরেছিলেন অমিতাভ।
(উদ্দাম শরীরী খেলায় ভরপুর বিক্রম ভাটের ‘মায়া’)
তবে নিজে যে ভুল করেছিলেন তা স্বীকার করেছেন ঋষি। জানিয়েছেন, সে সময় মোটে ২২ বছরের যুবক। কী ভুল তিনি করছেন তা বোঝার মতো বয়স তাঁর ছিল না। স্রেফ নামের জন্যই তিনি এ কাজ করেছিলেন। তবে যেভাবে তিনি সেদিনের কথা স্বীকার করলেন তাতে তাঁর সাহস ও সততার প্রশংসা চতুর্দিকে। বাবার নারীসম্পর্ক থেকে দাউদের সঙ্গে দেখা-জীবনের কোনও কিছু নিয়েই আর রাখঢাক করছেন না ঋষি। সাধে কি আর তাঁর বইয়ের নাম ‘খুল্লম খুল্লা’!