সুব্রত বিশ্বাস: শিয়ালদহ প্ল্যাটফর্ম থেকে বিদায় নিচ্ছে টিনের শেড। স্টেশন ভবনের ছাদজুড়ে এবার তৈরি হচ্ছে ‘রুফ প্লাজা’। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য় ও সৌন্দর্যায়নের উপর জোর দিয়ে নয়া রূপে সাজছে শিয়ালদহ স্টেশন। অত্যাধুনিক ওয়েটিং রুম, ঝাঁ চকচকে প্ল্যাটফর্মের পর এবার নব সংযোজন ‘রুফ প্লাজা’।
পার্সেলের দিকে খাল ধার হয়ে আরও একটি প্রবেশ এবং বেরোনোর প্রশস্ত রাস্তা হবে, সেই রাস্তা দিয়ে ঢুকে একেবারে ছাদে চলে যেতে পারবেন যাত্রীরা। খাওয়া-দাওয়া সেরে ট্রেনে সফর করতে পারবেন। এবার সেই সুযোগ উপভোগ করতে একেবারে নান্দনিক ভাবে ছাদকে সাজিয়ে তোলা হবে। এখন যে টিনের শেড রয়েছে তা কার্যত নিচু হওয়ায় যাত্রীরা ছাদ দেখতে পান না। সেই শেড এবার উপরে ফেলা হবে। যাতে স্টেশনের সব যায়গা থেকে দেখা যায় রুফ প্লাজার সৌন্দর্য্য।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে টাটার প্রত্যাবর্তন! কারখানা খুলছে খড়গপুরে, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
আক্ষরিক অর্থে পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক হয়ে উঠছে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর। স্টেশনের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে ডিআরএম দীপক নিগম জানান, কলকাতা করিডর এই স্টেশন একেবারে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী পরিষেবার উপযুক্ত করে তৈরি হবে। শহরের দু’দিক দিয়ে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া যাবে। স্টেশন এলাকা প্রশস্ত ও যাত্রী চলাচলের উপযুক্ত করতে এলাকা দখল মুক্ত করবে রেল। ইন্টেরিয়র, ওয়েটিং হল, টয়লেট, বিশেষভাবে সক্ষমদের সুবিধা, এস্কেলেটর তৈরি যেমন হবে, তেমনি স্টেশনটির সব লাইনের নিচ পাথর সরিয়ে কংক্রিটের করা হবে।
ডিআরএম দীপক নিগম জানান, অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে শিয়ালদহের পনেরোটি স্টেশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ানো হবে। এজন্য ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। শিয়ালদহ ছাড়া যে স্টেশনগুলোতে এই প্রকল্পের কাজ হবে তা, কলকাতা, কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, শান্তিপুর, ক্যানিং, চাঁদপাড়া, সোনারপুর, বহরমপুর কোর্ট, বেথুয়াডহরি, বনগাঁ, কল্যাণী ঘোষপাড়া, নৈহাটি, বারাকপুর, দমদম জংশন।