সুব্রত বিশ্বাস: “সফর মে হর খানা ফ্রি! বাদ মে নজরানা কে লিয়ে রুপয়া.. নেহি দে গা তো গোলি খা!” এসকর্ট বাহিনীর আরপিএফ কর্মী পি অশোক কুমারের এই কথায় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি নিউ দিল্লি-চেন্নাই এক্সপ্রেসের ক্যাটারিং ম্যানেজার সুনীল তোমার (৩২) যে কি হতে চলেছে। বোঝার আগেই পি অশোক কুমারের রিভলভারের গুলি বুক চিরে ঢুকে যায় ম্যানেজার তোমারের। ট্রেনের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপরই অভিযুক্ত আরপিএফ অশোক কুমার চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে নেমে পালিয়ে যায় ঝোপের আড়ালে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ট্রেনের মধ্যে এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দেন তাঁরা। হায়দরাবাদের থেকে দশ কিলোমিটার দূরে খাম্মাম স্টেশনের কাছেই এই ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি এরপর হায়দরাবাদে পৌঁছনোর পরও অ্যাম্বুল্যান্স পেতে বিলম্ব হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হায়দরাবাদ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ট্রেনে কর্তব্যরত আইআরসিটিসির সুপারভাইজার এডওয়ার্ড ডেভিডের অভিযোগ পেয়ে জিআরপি অভিযুক্ত আরপিএফ পি অশোক কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘নিয়মিত যোগচর্চায় ধর্ষণ রোখা সম্ভব’, নির্ভয়া কাণ্ডে ৪ দোষীর ফাঁসির দিনে দাওয়াই রামদেবের ]
ঘটনার সূত্রপাত তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে বলেই অভিযোগ। ট্রেনটির ক্যাটারিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এক্সপ্রেস ফুড সার্ভিসেস-এর ঠিকাদার শিবাকান্ত পাণ্ডে অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত আরপিএফ মদ্যপ অবস্থায় ট্রেনটি এসকর্ট করছিলেন। এস-১২ এ বসেই ক্যাটারিং কর্মীদের থেকে বিনা পয়সায় প্রথমে কোল্ড ড্রিংকস খায়। পরে আমূল কুল, মিনারেল ওয়াটার নেন। সবই বিনা পয়সায়। এর পর কর্মীকে বলেন, নজরানার টাকা দিতে। অস্বীকার করলে তাঁকে মারধর করে। এরপর ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার তোমার গিয়ে প্রতিবাদ করা মাত্র তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। যা তাঁর বুকের ডান দিকে লাগে। এরপর চেন টেনে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মী। ট্রেনে আরপিএফের এসকর্ট বাহিনীর এই অত্যাচার বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে আইআরসিটিসি রেল কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করার আরজি জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: জগন্নাথ মন্দিরের ধ্বজার আগুন কি অশনিসংকেত? আতঙ্কে ভক্তরা]
The post ঘুষ না দেওয়ায় চলন্ত ট্রেনেই আইআরসিটিসি কর্মীকে গুলি মদ্যপ আরপিএফের, হতভম্ব যাত্রীরা appeared first on Sangbad Pratidin.