স্টাফ রিপোর্টার: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। পুজোর পরই প্রচারে হই হই করে মাঠে নামতে চলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেই রাজনীতির গোলাবর্ষণের ভরা বাজারে ব্রিগেডে গীতা পাঠের আসর বসাতে চলেছে গেরুয়াপন্থী সংগঠন সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) ঘনিষ্ট এই ধর্মীয় সংগঠন সুত্রে খবর, আগামী ২৪ ডিসেম্বর অন্তত এক লক্ষ মানুষের কণ্ঠে গীতা পাঠের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই আসরে দ্বারকার শংকরাচার্য, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হচ্ছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) কাছেও। ডাক পাচ্ছেন নওশাদ সিদ্দিকি, বিকাশ ভট্টাচার্য-সহ রাজ্যের সব সাংসদ ও বিধায়করাও।
[আরও পড়ুন: টনক নড়ল প্রশাসনের, শিলান্যাসের ৭ বছর পর পুরুলিয়ায় থমকে থাকা সেতুর কাজ শুরুর উদ্যোগ]
লোকসভা ভোটের ভরা মরশুমে এভাবে লক্ষ মানুষের জমায়েতের আসর বসিয়ে গীতা পাঠ কর্মসূচির পিছনে ‘অন্যরকম’ গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ গীতা পড়েন। সেখানে গীতাকে এভাবে সংকুচিত করে দেওয়ার উদ্যোগ কেন?’’ কুণালের অভিযোগ, ‘‘আসলে বিজেপি তার হিংসা ও জাতিবিদ্বেষ ছড়াতে ধর্মীয় মঞ্চকে ব্যবহার করে। ধর্মের নাম করে কুৎসিত প্রচার করে। বিজেপির এই ঘৃণ্য রাজনীতি থেকে মানুষ সরে যাচ্ছে। তাই গীতাকে আশ্রয় করে রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে।’’
[আরও পড়ুন: ধর্মপ্রাণ ছেলেরা জঙ্গি! বিশ্বাসই হচ্ছে না আল কায়দা সন্দেহে ধৃত কালনার ২ পরিবারের]
আসরের অন্যতম উদ্যোক্তা ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী বন্ধুগৌরব মহারাজ জানিয়েছেন, ২৪ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে তিন ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে গীতার প্রধান পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করা হবে। এক লক্ষ সমবেত কন্ঠে এই পাঠ হবে। গতবার মায়াপুরে এই অনুষ্ঠান হয়েছিল। এবার ব্রিগেডে করা হচ্ছে। এজন্য সেনাবাহিনীর কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।