সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষবরণে রাতভর পার্টি করা যাবে না, নাচা-গানা চলবে না, হোটেল—রেস্তরাঁর দরজাও বন্ধ করে দিতে হবে রাত ১১ টার মধ্যে। এমনই এক ঝাঁক দাবি নিয়ে ম্যাঙ্গালোর পুলিশের দ্বারস্থ হল সংঘ পরিবারের সদস্য কট্টরপন্থী বজরং দল। তাদের স্পষ্ট যুক্তি, এমন রাতেই নেশাতুর হয়ে সর্বনাশ ঘটিয়ে ফেলে কম বয়সি ছেলেমেয়েরা। এমনকী ‘লাভ জেহাদ’-এর মতো ঘটনারও সূত্রপাত হয়। আর তাই ঝামেলার মূল নিউ ইয়ার পার্টিই বন্ধ করে দেওয়া হোক শহরজুড়ে।
[মায়ের পরকীয়া দেখে ফেলাতেই খুন চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া?]
তবে বজরং দল একা নয়, এই দাবিতে তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে সংঘ পরিবারের আরেক সদস্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। এব্যাপারে যৌথভাবে তারা আবেদন পেশ করেছে ম্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার টি আর সুরেশের কাছে। বিশেষ করে শহরের সমস্ত পানশালা যাতে বর্ষবরণের রাতে ও তার পরের দিন রাত ১১টার মধ্যেই বন্ধ করা হয় সে ব্যাপারেও বিশেষ অনুরোধ রেখেছে তারা। তবে তাদের এই মিলিত ফতোয়াকে যে মোটেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না প্রশাসন। তা কর্নাটক সরকারের বিবৃতিতেই স্পষ্ট। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামলিঙ্গ রেড্ডি এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রতি বছরই বজরং দল এবং কট্টরপন্থী সংগঠনগুলো এমন হুঁশিয়ারি দেয়। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাদের নেই।” প্রসঙ্গত গতবছর এই রাজ্যেরই অন্য শহর বেঙ্গালুরুতে বর্ষবরণের রাতে নিগ্রহের শিকার হন এক তরুণী। শহরজুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও ঘটে ওই ঘটনা। প্রশ্ন উঠলে তদানীন্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, বিদেশি সংস্কৃতিকে পোশাকে ও মননে অন্ধভাবে অনুকরণের কারণেই ঘটেছে এমন ঘটনা। শুধু পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে এর প্রতিকার সম্ভব নয়। মন্তব্যটি করার পর বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েন পরমেশ্বর। তবে রেড্ডি স্পষ্টতই খারিজ করে দিয়েছেন সংঘ পরিবার সদস্য দলগুলির ফতোয়া।
[ফাঁস ‘ভুতুড়ে’ বেগুনকোদরের রহস্য, সামনে এল ভয়ঙ্কর চক্রান্ত]
বজরং দল এবং ভিএইচপির তরফে শহরের হোটেল মালিকদেরও ‘হুঁশিয়ারি’ দেওয়া হয়। তাদের যুক্তি, এ ধরনের পার্টিতে মাদক ও দেহ ব্যবসা রমরমিয়ে চলে। এ সব বন্ধ করতেই এ বার নতুন বছরের লেটনাইট পার্টিগুলোতে ‘রাশ’ টানা উচিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ম্যাঙ্গালোরে এ সব সংগঠনের নীতি পুলিশি লেগেই থাকে। দীর্ঘদিন ধরে শহরে ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এ বার নিশানা বানিয়েছে নতুন বছরের লেট নাইট পার্টিগুলিকে। প্রসঙ্গত নিউ ইয়ার ইভ-এ বেঙ্গালুরুতে সানি লিওনের অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। কিন্তু কট্টরপন্থী সংগঠনগুলোর তীব্র আন্দোলনের মুখে পড়ে অবশেষে সেই অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
[বনধের ধাক্কা সামলে পাহাড়ে পর্যটক টানতে নয়া তিন রিসর্ট]
The post দেদার মাদক ও দেহ ব্যবসা চলবে না, বর্ষবরণে সংঘ পরিবারের ফতোয়া appeared first on Sangbad Pratidin.