সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে তুঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন। রাশিয়াকে (Russia) একঘরে করতে কার্যত ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে আমেরিকা। এহেন পরিস্থিতিতে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এবার প্রশ্ন উঠছে, মার্কিন চাপের মুখেও কি ‘বন্ধু’র পাশে থাকবে দিল্লি?
[আরও পড়ুন: ফাঁস প্রধানমন্ত্রী মোদিকে হত্যার ছক, তদন্তে NIA]
শুক্রবার রুশ বিদেশমন্ত্রীর সফরের দ্বিতীয় দিনে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদি। ইউক্রেন-সহ একাধিক বিষয়ে দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে বলে খবর। মোদি-লাভরভ বৈঠক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে চলা শান্তি আলোচনার বিষয়েও তথ্য দিয়েছেন লাভরভ।” বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, “ফের হিংসা থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যুদ্ধ থামাতে রাশিয়াকে সমস্ত প্রকার সাহায্যের আশ্বাসও দেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালে রাশিয়া-ভারত সামিটে নেওয়া সিদ্ধান্ত সমূহ সংক্রান্ত কাজ কতটা এগিয়েছে সেই বিষয়েও এদিন জানিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী।”
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত দু’সপ্তাহে এই প্রথম কোনও বিদেশি প্রতিনিধির সঙ্গে প্রকাশ্যে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন তিনি। এর আগে ব্রিটেন, চিন, অস্ট্রিয়া, গ্রিস ও মেক্সিকোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রকাশ্যে সাক্ষাৎ করেননি প্রধানমন্ত্রী। ফলে বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন হুঁশিয়ারি সত্বেও ‘বন্ধু’ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়বে না ভারত। সীমান্তে চিনা হুমকির কথা মথায় রেখে আমেরিকাকে পাশে চাইলেও আপাতত রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।
বলে রাখা ভাল, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনছে ভারত। আর তাতেই চটে লাল ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার ভারতে এসে ডেপুটি মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা দলীপ সিং স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাশিয়ার (Russia) বিরোধিতা না করে ভুল করছে ভারত (India)। বিপদে পড়লে ভারতকে বাঁচাতে আসবে না রাশিয়া, এই হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে আমেরিকার তরফ থেকে। রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নতি হয়েছে। আর এই সম্পর্কের উন্নতিকে আমেরিকা ভাল ভাবে নেবে না বলে জানিয়েছেন দলীপ সিং।