সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯ বছর পর প্রথম ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী হিসাবে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল এস জয়শংকরের। তার আগেই রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ভারতকে খোঁচা দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, শাহবাজের এই আক্রমণের প্রভাব কি জয়শংকরের পাক সফরে পড়তে পারে? উল্লেখ্য, শনিবারই রাষ্ট্রসংঘে জবাবি ভাষণ দেবেন বিদেশমন্ত্রী।
এসসিও সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিবর্তে জয়শংকরকে পাঠাতে চেয়েছিল নয়াদিল্লি। আগামী ১৪ ও ১৫ অক্টোবর ইসলামাবাদে এসসিও দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলন রয়েছে। সেখানে যদি জয়শংকর যান, তাহলে ৯ বছর পর প্রথম ভারতের বিদেশমন্ত্রী হিসাবে পাকিস্তানে পা রাখবেন তিনি। ২০১৫ পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
জয়শংকরের সফরের আগেই শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় শরিফ দাবি করেন, ভারত জম্মু ও কাশ্মীরে ‘একতরফা’ ও ‘বেআইনি’ কার্যকলাপ চালায়। উদাহরণ হিসেবে তিনি ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ তোলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ”ওই এলাকায় পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরির জন্য পাকিস্তানের দেওয়া সমস্ত প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ওদের নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রণরেখা পেরনো এবং আজাদ কাশ্মীরের দখল নেওয়ার হুমকি দেয়।” তবে সঙ্গে সঙ্গেই পাক প্রধানমন্ত্রীকে পালটা দিয়েছে ভারত।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় সময় শনিবার রাতে রাষ্ট্রসংঘে জবাবি ভাষণ দেবেন জয়শংকর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসসিও সম্মেলনের আগে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত সমস্যায় যেতে চায় না। কারণ পাকিস্তান ছাড়াও এসসিও সম্মেলনে হাজির থাকবে চিন-রাশিয়ার মতো দেশগুলো। পাকিস্তানকে জবাব দিতে গিয়ে এই দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চায় না নয়াদিল্লি। তাহলে কি কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘে 'খোঁচা খাওয়ার' পরেও ভারত কড়া বার্তা দেবে না পাকিস্তানকে? কী বলবেন বিদেশমন্ত্রী? নজর রাখছে কূটনৈতিক মহল।