সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে মুম্বইয়ে আতঙ্ক। দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। সেই মানুষ, যিনি শাহরুখ খান ও সলমন খানের দীর্ঘ সময়ের দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন। দুই খানকে আবারও বেঁধেছিলেন বন্ধুত্বের বাঁধনে। এমন প্রিয় মানুষের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে বিচলিত সলমন। নিলেন বড় সিদ্ধান্ত।
এক সময় এমন ছিল যখন শাহরুখ-সলমন একে অন্যের ছায়া থেকেও দূরে থাকতেন। শোনা যায়, তাঁদের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল ২০০৮ সালে। ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তবে বাবা সিদ্দিকির ডাকেই তাঁর ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলেন শাহরুখ ও সলমন। সেখানেই দুজনের অভিমানের বরফ গলে যায়। আলিঙ্গনে মিটে যায় যাবতীয় তিক্ততা। এর পরও একাধিকবার বাবা সিদ্দিকির ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলেন শাহরুখ ও সলমন। এমন মানুষের মৃত্যুর খবর পেয়েই লীলাবতী হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন সলমন। সূত্রের খবর, রিয়ালিটি শো 'বিগ বস'-এর শুটিং সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি। এদিন বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান শিল্পা শেট্টি, সঞ্জয় দত্ত, জাহির ইকবালরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন শিল্পা।
শনিবার রাতে পূর্ব বান্দ্রায় দশেরার বাজি ফাটাচ্ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি বিধায়ক। তাঁর দপ্তরের সামনেই ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা। আচমকাই সেখানে হাজির হয় তিন দুষ্কৃতী। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। মোট তিন রাউন্ড গুলি চলে। অন্তত ছটি গুলি ফুঁড়ে দেয় বাবার শরীর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। দুজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হলেও তৃতীয় অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় রক্তস্নাত বাবা সিদ্দিকির।
এখনও পর্যন্ত কোনও দলই এই হত্যার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু অভিযুক্তদের দাবি তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই এই বিষ্ণোই গ্যাংয়েরই হিটলিস্টে রয়েছেন সলমন। ফলে সুপারস্টারের জন্য অনুরাগীদের চিন্তা আরও বাড়ল।