সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ভাইকে বলে দিও দাউদ বাঁচাতে আসবে না”, দিন কয়েক আগেই জিপ্পি গরিওয়ালের বাড়িতে গুলি চালিয়ে শাসিয়েছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সেই সঙ্গে পাঞ্জাবী গায়কের কাঁধে বন্দুক রেখে সোশাল মিডিয়ায় সলমন খানের উদ্দেশে এক হুমকি পোস্টও ছোঁড়া হয় বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে। কোথা থেকে ভাইজানকে এমন খুল্লামখুল্লা খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে? তদন্তে নেমেই কেঁচো খুড়তেই কেউটে।
গত শনিবার সলমন খানকে ফের খুনের হুমকি দেওয়ার পর মহারাষ্ট্রের পুলিশ প্রশাসনের উদ্বেগ আরও বাড়ে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই ভাইজানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। বুলেট প্রুফ গাড়িতে চলাফেরা করেন তিনি। সবসময়ে বডিগার্ড শেরার পাশাপাশি সলমন খানের সঙ্গে Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা বলয়ও থাকে। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে এর আগেও বলিউড সুপারস্টারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার বিদেশের সঙ্গে এর যোগসূত্র খুঁজে পেল মুম্বই পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘যানজটে আটকে পাইলট! ফাজলামি হচ্ছে?’, এয়ার ইন্ডিগোর আজব দাবিতে ক্ষুব্ধ কপিল শর্মা]
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “ফেসবুকের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে ওই পোস্টের ডিটেইলস জানতে চেয়েছিলাম। জানা গিয়েছে, ইউরোপের কোনও এক দেশ থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সলমনকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটা রসিকতা না আদতে খুনের হুমকি? স্থানীয় পুলিশ এবং অপরাধ দমন শাখা বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। কানাডায় জিপ্পি গরিওয়ালের বাড়ির সামনে যে গোলাগুলি হয়েছে, তার সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সম্প্রতি জিপ্পি গরিওয়ালের ভেনক্যুভারের হোয়াইট রক এরিয়ার বাড়ির সামনে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এই ঘটনার দায় লরেন্স বিষ্ণোই স্বীকার করার পরই ফেসবুক পোস্টে সলমন খানকে উদ্দেশ্য করে এক বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে সাফ লেখা- “সলমন একদম ভেবো না যে দাউদ তোমাকে বাঁচাবে। এবার কেউ বাঁচাতে পারবে না তোমাকে।… সলমন এখন তুমি আমাদের হাতের নাগালে। এটা ট্রেলার দেখালাম। এবার পুরো সিনেমা দেখানো বাকি। যে দেশে যাওয়ার ইচ্ছে যাও। মৃত্যুর জন্য কোনও ভিসার প্রয়োজন হয় না। ওটা অপ্রত্যাশিতভাবেই আসে।” তাহলে কি ভাইজানকে খতম করার প্ল্যান বিদেশেই? এমন কৌতূহল থেকেই যায়।