সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) রুপো জিতে ফেরা মীরাবাই চানুর (Mirabai Chanu) সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করেছিলেন সলমন খান (Salman Khan)। তাতেই ট্রোল হতে হল বলিউডের সুলতানকে। চানুর সঙ্গে ছবি তোলায় সময় গলায় হরিণ আঁকা উত্তরীয় পরেছিলেন সলমন। তা নিয়েই করা হল কটাক্ষ।
বুধবার মীরাবাইয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন সলমন খান। একই ছবি পোস্ট করেছেন অলিম্পিক পদকজয়ী। নিজের পোস্টের ক্যাপশনে সলমন লেখেন, “রুপোজয়ী মীরাবাই চানুর জন্য আনন্দিত… তোমার সঙ্গে দেখা করে খুব ভাল লাগল… অনেক শুভচ্ছা রইল।”
[আরও পড়ুন: সুশান্ত মৃত্যুর বিতর্ক পেরিয়ে ২৭ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে Rhea Chakraborty’র ‘চেহরা’]
সলমনের এই পোস্ট দিতেই কটাক্ষের পালা শুরু হয়ে যায়। কেউ লেখেন, “কৃষ্ণসার হরিণ, তাও আবার মাফলারে!” কেউ আবার লেখেন, “ভাইজানের প্রিয় প্রাণী তাঁর মাফলারে। হরিণ ও ভাইয়ের এই ভালবাসায় যেন কারও নজর না লাগে।” সলমনের ‘কিক’ সিনেমার সংলাপ নকল করে আবার লেখা হয়েছে, “হিরণ ডেভিলকে পিছে… ডেভিল হিরণকে পিছে…টু মাচ ফান।” এমনই পোস্টে ভরে গিয়েছে কমেন্ট বক্স।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা (Blackbuck Poaching case) করার অভিযোগ ওঠে বলিউডের দাবাং খানের বিরুদ্ধে। যা বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সলমন। সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সইফ, সোনালি বেন্দ্রেরাও। গাড়ির মধ্যে থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সলমন। গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত হরিণটিকে পড়েও থাকতে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি যে জিপসি গাড়িটি সলমন চালাচ্ছিলেন সেটিও দেখতে পান। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন তাঁরা। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা। এরপরই সলমনের (Salman Khan) বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা রুজু হয়। এই মামলায় পাঁচ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা হয় অভিনেতার। ২০১৮ সালে যোধপুর দায়রা আদালত ব্যক্তিগত ৫০ হাজার টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তারপর থেকে জামিনেই তিনি জেলের বাইরে রয়েছেন সলমন। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই আবারও ট্রোল হতে হল তাঁকে।