সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অজিত মাইতি, বিনয় সর্দারের পর শংকর সর্দার। ফের সন্দেশখালির(Sandeshkhali Incident) বেড়মজুর গ্রামে মহিলাদের রোষের মুখে তৃণমূল নেতা। লাঠি, ঝাঁটা, জুতো হাতে ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে তাণ্ডব রণংদেহী মহিলাদের। চারদিক দিয়ে বাড়ি ঘিরে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। ছুড়ে ফেলা হয় বাসনপত্র। অবিলম্বে শংকর সর্দারের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব বিক্ষোভকারীরা।
তৃণমূল নেতা শংকর সর্দারের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাঁদের দাবি, শেখ শাহজাহান এবং শেখ সিরাজউদ্দিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় জমিজমা লুটপাট করতেন তিনি। প্রতিবাদ করলেই কপালে জুটত মারধর। পুলিশের দ্বারস্থ হলে হুমকিও দেওয়া হত গ্রামবাসীদের। জব কার্ড আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে শংকরের বিরুদ্ধে। আর তার প্রতিবাদে সোমবার সকালে তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও হন মহিলারা। রণংদেহী মহিলারা লাঠি-ঝাঁটা-জুতো হাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ি ঘিরে ধরে। বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চলে। ফেলে দেওয়া হয় বাসনপত্র। খাবারদাবারও ফেলে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বিপদ, বাঘের হামলায় মৃত্যু মৎস্যজীবীর]
খবর পেয়ে ডিআইজি বারাসত ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উন্মত্ত গ্রামবাসীদের সামাল দেয় পুলিশ। “আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেবেন না”, বলেই আর্জি জানান পুলিশ আধিকারিকরা। শংকর সর্দারের স্ত্রী শিবানী এবং মেয়ের সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের দুজনেরই দাবি, শংকর কোনওরকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। অশান্তির সময় শংকর সর্দার বাড়িতে ছিলেন না বলেই জানান তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। এখনও পর্যন্ত এই অশান্তির ঘটনায় পাঁচ মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের টোটো করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।