সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও মুখ খোলা, কখনও আবার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা, ফোনে নির্দেশের অপেক্ষায়। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) দু’নম্বর ব্লকের বেড়মজুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন গীতা, স্বামী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। বেড়মজুর ১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় বেআইনিভাবে মহিলাদের সংঘটিত করে জমায়েত করা। আলা ঘরে আগুন ধরানো, রাস্তার উপরে কাটা গাছ বিছিয়ে দেওয়া ও টায়ার জ্বালানো – সব কিছুর পিছনে গীতার হাত! বহিরগতদের (Outsider) সঙ্গে নিয়ে এই বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন তিনি।
বেড়মজুরের এক ও দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্দোলনের (ছবি স্পষ্ট করল ছদ্মবেশী গীতা বর। বেড়মজুর দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝুপখালিতে দুদিন আগে গীতা বরের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। আবার সেখান থেকে বেড়মজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছারিপাড়া, বটতলা, দাসপাড়া, কাঠপোল একাধিক জায়গায় গীতাকে দেখা গিয়েছে কখনও মুখে মাস্ক বাঁধা, আবার কখনও গামছা পরা, আবার কখনও খোলা মুখে গীতা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর লড়াই শেখ শাহাজানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, ”যেভাবে আমাদের জমি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন চলবে।”
[আরও পড়ুন: শাড়ি-শাঁখা-ঝাঁটা হাতে অজিত মাইতিকে তাড়া মহিলাদের! পদ ছাড়তে চাইলেন সন্দেশখালির TMC নেতা]
গীতা বর বলেন, “ম্যাডামের (বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র) সঙ্গে আমরা আছি, তাঁর সঙ্গে যাচ্ছি। এই আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে। এমনকী আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমার স্বামীকেও মারধর করা হয়েছে। ছোট বাচ্চাকেও মারা হয়েছে।” বাড়ির খানিকটা দূরে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র থাকলেও নির্দিষ্ট পাবে সেখানে অভিযোগ জানায়নি গীতা। বললেন, “জানিয়ে কী হবে? ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। কিন্তু এতে কী হবে? সিসিটিভি লাগিয়েছে, এদের কোনও লাভ হবে না পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না।” তাহলে কি বেড়মজুর জুড়ে যে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছিল, তার পিছনে কি মদত ছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের? গীতার কথা শুনে সেই ছবিই আবার প্রকট হয়ে উঠল।
দেখুন ভিডিও: