সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিসমাস ইভের রাতে সকলে যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, চুপিসাড়ে চলে আসেন তিনি। ছাদের চিমনি দিয়ে সোজা ঢুকে পড়েন ঘরের অন্দরে। সকলের হাঁড়ির খবর জানা। আজানা নয় তাঁদের মনের কথাও। সমস্ত ইচ্ছে পূরণ করেন। কোনও অন্যথা হয় না। যার যা চাই, সেই উপহারটি রেখেই বিদায় নেন। বড়দিন মানেই সাদা দাড়ি-লালটুপির সান্টা ক্লজ। ইচ্ছে পূরণের বুড়ো।
[এই শীতে আপনার খুদেদের জন্য তৈরি করুন মিকি মাউস, ডোরেমন কেক]
তবে দক্ষিণ আমেরিকার উটাহ এলাকায় এ বছর একটু আগেই সান্টা চলে এসেছেন। কারণ মাইলস অ্যাগনিউ। আড়াই বছরের দুধের শিশুটি ছোটবেলা থেকে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। কয়েকমাস ধরে স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ডাক্তাররাও জবাব দিয়ে দেন। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন সময় রয়েছে। বড়দিন পর্যন্ত একরত্তির প্রাণ দেহে থাকবে কি না, এখনও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। বোধহয় এটাই হতে চলেছে তার শেষ ক্রিসমাস। তাই একটু আগেই হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন সান্টা। অসুস্থ শিশুকে কোলে তুলে নিলেন। শরীর সাড়া দিচ্ছিল না। কিন্তু একরত্তির মুখে সামান্য হলেও হাসি ফুটল।
[সন্তান সারাদিন মুখ গুঁজে স্মার্টফোনে? আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়ছে না তো?]
এই প্রথম নয় এমনভাবে অনেক দুঃস্থ, অসুস্থ শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়েছে আমেরিকার এই ‘সিক্রেট’ সান্টা। উদ্যোগটির নাম সিক্রেট স্লেহ প্রজেক্ট। প্রতিবারই এমনভাবে শিশুদের মুখে হাসি ফোটায় এই সংস্থা।
কিন্তু সান্টা হিসেবে যিনি মাইলসকে দেখতে এসেছিলেন, সেই জেরি বোডিলির কাছে এ কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, কোনওভাবে নিজের চোখের জল আটকে রেখে হাসছিলেন তিনি। কান্নাটা গলায় আটকে গিয়েছিল। এর আগে একবারই এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে পড়তে হয়েছিল। তিনি দেখা করার সপ্তাহ কয়েক পরেই মৃত্যু হয়েছিল সেই শিশুটির। এবারও সেরকমই পরিস্থিতি। এমন কঠিন কাজ করার জন্য জেরিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মাইলসের মা মিশেল। এই সময়টা খুবই কঠিন তাঁর কাছেও। এই দুঃখের মধ্যেও মাইলের সমস্ত সাধ পূরণ করার চেষ্টা করছেন তিনি। আর প্রত্যেকটা মুহূর্ত ধরে রাখছেন ক্যামেরায়। কারণ এটাই তাঁর সারা জীবনের সম্পদ হতে চলেছে।
[জানেন, বাড়ির বয়স্কদের কীভাবে ভাল রাখবেন?]
The post মরণাপন্ন শিশুর শেষ ইচ্ছেপূরণে বড়দিনের আগেই এলেন সান্টা appeared first on Sangbad Pratidin.