সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু বিতর্কের পর প্রকাশ্যে এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য। আর সেই তথ্যে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের অভিযোগই সত্যি। ‘অসাংবিধানিক’ এই বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি চাঁদা পেয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিই (BJP)। গেরুয়া শিবির শুধু বেশি চাঁদা পেয়েছে তাই নয়, তাঁদের প্রাপ্ত চাঁদা সম্মিলিত বিরোধীদের প্রায় সমান।
১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, এসবিআইকে (SBI) ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ডের যাবতীয় তথ্য তুলে দিতে হবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। এর পর সেই তথ্য জনসমক্ষে আনবে কমিশন (Election Commission)। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র ২ দিন আগে ৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে এসবিআই জানায়, ওই সময়সীমার মধ্যে বন্ডের তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। বরং ওই তথ্য জমা দিতে আরও সময় চাই। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চায় তারা। পালটা এসবিআইকে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ১২ মার্চের মধ্যেই ওই তথ্য জমা দিতে হবে। সেটা ১৫ মার্চের মধ্যে কমিশন নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। সেই সময়সীমা শেষের একদিন আগে ১৪ মার্চই প্রকাশ্যে এল বন্ডের তথ্য।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ বিজেপির, ময়দানে নামার সময় জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’]
সেই তথ্য অনুযায়ী, ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে বিজেপিরই। বন্ড থেকে রাজনৈতিক দলগুলি মোট যা আয় করেছে তার প্রায় ৪৭ শতাংশ গিয়েছে বিজেপির দখলে। টাকার অঙ্কটা প্রায় ৬ হাজার ৬০ কোটি টাকা। নির্বাচনী বন্ড থেকে তৃণমূল পেয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬০৯ (১৩ শতাংশ) কোটি টাকা। কংগ্রেস নির্বাচনী বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ের নিরিখে তৃতীয় স্থানে। কংগ্রেস নির্বাচনী বন্ডে পেয়েছে মাত্র ১ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। যা বিজেপির চেয়ে কয়েকগুণ কম। এছাড়া আপ, টিডিপি, বিআরএস, এআইএডিএমকে, শিব সেনা সকলেই এই বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পেয়েছে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোনও অনুদান গ্রহণ করেনি সিপিএম।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে ফিরছি, লাইনে আরও বড় নেতা’, বিস্ফোরক দাবি ‘গেরুয়া’ অর্জুনের]
এপ্রিল ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৫১৮ কোটি টাকার বন্ড বিক্রি করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক। যদিও সেই সব বন্ডের টাকা রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এখনও জমা পড়েনি।