সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সাতজন রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র সরকার৷ অবৈধভাবে বসবাসকারী ওই সাত রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ৷ তবে সেই মামলা খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস কে কৌল এবং কে এম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ৷ সর্বোচ্চ আদালত জানায়, অবৈধভাবে মায়ানমার থেকে এসে অসমে বসবাস করতে শুরু করেছিল ওই সাতজন৷ ২০১২ সালে শিলচর থেকে আটক করা হয় তাদের৷ ওই সাত রোহিঙ্গাকে এতদিন রাখা হয়েছিল কাছাড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তাদের মায়ানমারে পাঠানোর ব্যবস্থা শুরু হয়েছে৷
[পোলিও টিকায় ভাইরাস, তিন রাজ্যে দেড় লক্ষ শিশুর শরীরে সংক্রমণের আশঙ্কা]
শিলচর ক্যাম্পে আটক রোহিঙ্গাদের এখনই তাদের দেশে ফেরত না পাঠানোর আর্জি জানিয়ে একটি আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। পাশাপাশি, মহম্মদ সালিমুল্লা ও মহম্মদ শাকির নামে দুই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী ভারত থেকে ৪০ হজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতেই রায়দান করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান বিচারপতি৷ ২০১২ সালের ২৯ জুলাই ওই সাতজন উদ্বাস্তুকে আটক করা হয়। তাদের কাছাড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। কাছাড় প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মহম্মদ জামাল, মাহবুল খান, মহম্মদ ইউনুস, সাবির আহমেদ, রহিমউদ্দিন ও মহম্মদ সালাম নামে ওই ৭ জনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, সম্প্রতি মায়ানমার সরকার ওইসব রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা যে তাদের নাগরিক তা নিশ্চিত করেছে। ওই ৭ জন মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা। এদের মণিপুরের মোরে সীমান্ত দিয়ে মায়ানমারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
[মুসলিম বলে মেলেনি সুবিচার, মৃত ছেলের জন্য ধর্মান্তরিত হলেন বাবা]
অসম পুলিসের অতিরিক্ত ডিজি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত জানিয়েছেন, বিদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরানোর কাজ আগেই শুরু হয়েছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বেশ কিছু নাগরিককে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের প্রথম কোনও দলকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের।
The post ৭ জন রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে ফেরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.