সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে। মঙ্গলবার ছিল শুনানির চতুর্থ দিন। এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, বিয়ে ও ডিভোর্স সংক্রান্ত আইন তৈরি করা সংসদের কাজ। এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কত দূর হস্তক্ষেপ করতে পারে সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এও মেনে নিল এবিষয়ে এখনও প্রচুর ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন।
প্রাথমিকভাবে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্র। আগেই কেন্দ্রের সেই আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতিদের বেঞ্চ। তবে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আইনকে স্পর্শ না করে সমলিঙ্গ বিয়েকে বৈধতা দেওয়া খুব সহজ কাজ নয়। মঙ্গলবার শুনানির শেষে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ”আদালতের দ্বারা নির্ধারিত কাঠামো তৈরি করা উচিত আইনসভার দ্বারা।”
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল প্রয়াত, ‘ব্যক্তিগত ক্ষতি’, টুইট মোদির]
উল্লেখ্য, মামলা চলাকালীনই প্রধান বিচারপতির কাছে আরজি জানিয়ে চিঠি লিখলেন ৪০০ সমকামী, রূপান্তরকামী, বহুকামীর অভিভাবকরা। আবেগপ্রবণ সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত আমাদের দেশের মতো বড় একটা দেশে, যেখানে এমন বৈচিত্র, সেখানে আমাদের সন্তানদের বিয়েকে বৈধতা দিতে আইনি দরজা খুলে দেওয়া হবে। আমাদের বয়স হচ্ছে। কেউ কেউ শিগগিরি ৮০ ছোঁবে। আমাদের আশা, আমরা আমাদের জীবদ্দশাতেই আমাদের সন্তানদের ‘রামধনু’ বিয়ে দেখে যেতে পারব।’
মঙ্গলবারের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যে ফুটে উঠেছে সমলিঙ্গ বিয়েকে (Same-gender marriage) বৈধতা দেওয়ার বিষয়টি কতটা কঠিন, সেই দিকটি। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী শুনানিতে আলোচনা কোনদিকে গড়ায় আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।