shono
Advertisement

অবশেষে কারনানকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

তাঁর বিরুদ্ধে ছ'মাসের জন্য জেলের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
Posted: 12:29 PM May 09, 2017Updated: 07:00 AM May 09, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও বিপাকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিন্নাস্বামী স্বামীনাথন কারনান। মঙ্গলবার তাঁকে ছ’মাসের কারাদণ্ড দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত অবমাননার দায়ে তাঁকে এই সাজা শোনাল প্রধান বিচারপতি জে এস খেহের-সহ সাত সদস্যের বেঞ্চ। দেশে এই প্রথম কোনও বিচারপতিকে জেলের সাজা শোনাল শীর্ষ আদালত। কারনানকে গ্রেপ্তার করতে ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের ডিজি-কেও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এখানেই শেষ নয়, সংবাদমাধ্যমকে তাঁর নির্দেশ এবং বিবৃতিকে বেশি গুরুত্ব দিতেও নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

[রবীন্দ্রনাথের মানবতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হওয়ার ডাক রাষ্ট্রপতির]

এর আগে গত সোমবারই নিজের বাড়িতে বিশেষ কোর্ট বসিয়ে প্রধান বিচারপতি-সহ সাত বিচারপতির বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেছিলেন কারনান। প্রধান বিচারপতি খেহারকে পাঁচ বছরের জেল এবং এক লক্ষ টাকা সাজা শুনিয়েছিলেন তিনি। যদিও কারনানের এই রায়ের কোনও গুরুত্বই ছিল না। সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল, কারনানের কোনও নির্দেশই কার্যকর হবে না। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছিল। এছাড়া যাবতীয় বিচার প্রক্রিয়া থেকেও তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশপাশি গত ১ মে-র শুনানিতে শীর্ষ আদালত কারনানের মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল। তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও সেই নির্দেশ মানেননি কারনান।

[মাও দমনে সুকমায় নামছে ২০০০ কোবরা কমান্ডো]

৪ মে কারনানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন পাভলভ হাসপাতালের চার চিকিৎসক। কিন্তু তাঁদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ সঙ্গে ছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সদর) সুধাকরণ-সহ ২০ জন পুলিশ৷ ওই চিকিৎসকদের বিচারপতি কারনান স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন না। আর কারও মানসিক চিকিৎসা করতে গেলে আগে অভিভাবকদের সম্মতি লাগে৷ এভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো যায় না৷ আর বাড়িতেও কেউ নেই। তাই পরীক্ষাও করা যাবে না। এরপর সোমবার নিজের বাড়িতে কোর্ট বসিয়েই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে জেলের সাজা শোনান।

[পাক সেনার মুণ্ডচ্ছেদে ইনাম ৫ কোটি টাকা, ঘোষণা মুসলিম সংগঠনের]

প্রসঙ্গত, সি এস কারনান এবং সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে এই বিবাদ বহুদিন ধরেই চলছে। কারনানের একটি একটি নির্দেশ বারংবার দেশের বিচারব্যবস্থাকে বিড়ম্বনার সম্মুখীন করে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহেরের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদ্যস্যের এই বেঞ্চই বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন৷ দেশের প্রায় ২০ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন কারনান৷ এমনকী বিচারব্যবস্থা ও সরকারের কাজের সমালোচনা করে মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও আক্রমণাত্মক ভাষায় চিঠি লিখেছিলেন বিচারপতি কারনান৷ সেই চিঠি তিনি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পাঠিয়েছিলেন৷ এরপরই সর্বসম্মতিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছিল শীর্ষ আদালত৷ এই মামলার শুনানিতে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিচারপতি কারনানকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি হননি। আর তারপরই কারনানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।

[দলে দলে হিন্দুরা ভিড় জমান এই দরগায়, কেন জানেন?]

উল্টোদিকে কারনানের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি দলিত বলে তাঁর সঙ্গে এরকম ব্যবহার করা হচ্ছে। নানাভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি। এরপরেই নিজেই বাড়িতে বিশেষ আদালত বসিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা থেকে শুরু করে উড়ানে বিধিনিষেধ জারি করেন। শেষে জেলের সাজাও শোনান। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন দেখার বিচারপতি কারনান এবার কী পদক্ষেপ করেন?

[দু’মুঠো চালের জন্য ধর্ষণের শিকার মহিলা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement