স্টাফ রিপোর্টার : কলকাতার এক প্রধানের বিজয়রথ তিনি আটকে দিয়েছেন। আপাতত ঘুম কেড়ে নিয়েছেন আর এক প্রধানের। যিনি কেড়েছেন তিনি আর কেউ নন, জামশেদপুর এফসি—র (Jamshedpur FC) স্ট্রাইকার নেরিজেস ভালসকিস (Nerijus Valskis)। বৃহস্পতিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) প্রতিপক্ষ সেই জামশেদপুর। তাই রবি ফাওলার ভেবে উঠতে পারছেন না কীভাবে লিথুয়ানিয়ার স্ট্রাইকারকে আটকাবেন।
তিনটে ম্যাচ খেলে তিনটেতেই হার। লিগ টেবিলে এগারোটা দলের মধ্যে সবচেয়ে নীচে। ওড়িশা তবু একটা পয়েন্ট পেয়েছে। কিন্তু লাল–হলুদ শিবিরের সেই কাঙ্খিত পয়েন্ট এখনও আসেনি। কাল আবার এমন এক প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হবে যারা এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে পুরো অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে। রয় কৃষ্ণদের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে জামশেদপুর ধুঁকছিল। একটাও ম্যাচ তারা জিততে পারেনি। অথচ সোমবার জিতে তারা লিগ টেবিলে চলে এসেছে সপ্তম স্থানে। সেই জন্য রবি ফাওলার আরও চিন্তায়। তাঁর ডিফেন্সের হাল এমনিতেই খারাপ। তার উপর আবার ড্যানি ফক্স চোট পেয়ে আপাতত মাঠের বাইরে। কবে ফিরবেন কেউ জানে না। তিনি থাকলে ডিফেন্সের অবস্থা এতটা খারাপ হত না।
[আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফের বর্ণবিদ্বেষের ছায়া! চতুর্থ রেফারির মন্তব্যের জেরে স্থগিত ম্যাচ]
এখন প্রশ্ন হল, তাহলে এই দল নিয়ে এগোনো কীভাবে সম্ভব হবে? এখন উপায়ও নেই। জানুয়ারিতে সেকেন্ড উইন্ডো খুলবে। তখন দলে কিছু পরিবর্তন করে হয়তো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন। কিন্তু তার আগেও অনেকগুলো ম্যাচ খেলতে হবে। তাহলে? লাল-হলুদের কোচকে আর একটা দিকও ভাবাচ্ছে। সেটা কী? জামশেদপুরের সেট—পিস থেকে গোল তুলে নেওয়া। এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohunbagan) বিপক্ষে দু’টি গোল হয়েছে কর্ণার থেকে। সেইজন্য ফাওলার (Robbie Fowler) বুঝে উঠতে পারছেন না কাকে দিয়ে লিথুয়ানিয়ার স্ট্রাইকারকে আটকাবেন।
টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য ফোনে গোয়া থেকে বলছিলেন, “আমাদের এমনিতেই ডিফেন্সের হাল ভাল নয়। শূন্যে আসা বলের ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতা বারবার ধরা পড়েছে। সেই জায়গায় জামশেদপুর আবার যাবতীয় আক্রমণ শানায় দু’টো উইং দিয়ে। উইং নির্ভর খেলা হওয়া মানে আমরা সমস্যায় পড়তে বাধ্য। তার উপর আবার ভালসকিস রয়েছে। এই ছেলেটা দারুণ গোল চেনে। কখন এসে গোল করে দিয়ে চলে যাবে কেউ জানে না। আগের দিন এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য ভাল খেলায় বিরুদ্ধে ওই দু’গোলে আটকে গিয়েছে। নাহলে আরও বেশি গোলে জামশেদপুর জিততে পারত। তাই আমাদের কোচ আরও চিন্তায় গিয়েছেন। কী করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। অ্যারন হয়তো খেলতে পারে । যেভাবে হোক এক পয়েন্ট পেলেও তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন।” হারের হ্যাংওভার কাটিয়ে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ফাউলারের টিম জয়ে ফিরতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।