দুলাল দে: হায়দরাবাদ এফসির গোলকিপার সুব্রত পালকে লোনে আসার জন্য প্রস্তাব দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। এতদিন কথা চলছিল, নর্থইস্টের গোলকিপার শুভাশিস রায় চৌধুরির সঙ্গে। ঠিক ছিল, শুভাশিসকে না পেলে এফসি গোয়ার দ্বিতীয় গোলকিপার নবীন কুমারকে দলে নেওয়া হবে। সেভাবেই কথা হয়েছিল এফসি গোয়ার (FC Goa) প্রতিনিধিদের সঙ্গে। কিন্তু এর মধ্যেই স্বয়ং সুব্রত পাল (Subrata Pa) আগ্রহী জেনে তাঁর সঙ্গে আলোচনা শুরু করলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
আরও একটা মরশুম হায়দরাবাদের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে সুব্রতর। তবে ভারতীয় দলের গোলকিপার সুব্রত লাল-হলুদ কর্তাদের জানিয়েছেন, আইএসএলের (ISL) দ্বিতীয় দফা থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে খেলতে চান তিনি। সমস্যা একটাই অর্থের পরিমাণ এবং হায়দরাবাদের সম্মতি। সুব্রত লাল-হলুদকে জানিয়েছেন, হায়দরাবাদ কোচ এবং কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে লোনের ব্যবস্থা করে ফেলবেন। কিন্তু লাল-হলুদ কর্তারা জানেন না, সুব্রতকে ছাড়ার জন্য ট্রান্সফার ফি বাবদ কত টাকা দাবি করবে হায়দরাবাদ। তাই সুব্রতকে পাওয়ার জন্য কথা বার্তা শুরু হলেও হায়দরাবাদ ছেড়ে সুব্রত আসছেনই, এরকমটা এখনই বলা যাবে না।
[আরও পড়ুন: অভিষেকেই বাজিমাত করলেন ব্রাইট, দলের নবাগত স্ট্রাইকারকে নিয়ে কী বললেন রবি ফাউলার?]
একটা জয় পুরো বদলে দিয়েছে লাল-হলুদ সংসারকে। এর আগেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভাল খেলেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু জয় কিছুতেই আসছিল না। অবশেষে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে পুরো তিন পয়েন্ট পেতেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল শিবির। পরের দুটো ম্যাচে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী এফসি গোয়া এবং বেঙ্গালুরু এফসি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বলে যে, ম্যাচ ড্রয়ের কথা ভাবা হবে এরকম নয়। কোচ ফাউলার থেকে ফুটবলাররা এখন থেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, নিজেদের খেলা ঠিকভাবে খেলতে পারলে গোয়া কিংবা বেঙ্গালুরুকেও হারানো সম্ভব। তার উপর ওড়িশা ম্যাচের পর লাল-হলুদ শিবিরের এখন আলোচনার মধ্যমণি ব্রাইট। এতদিন ঠিকঠাক স্ট্রাইকারের অভাবে ভুগছিল লাল-হলুদ। রবিবার মিনিট ১৫ খেলেই ব্রাইট সমর্থকদের মনে যে আশার আলো জাগিয়ে তুলেছেন, তাতেই সবাই মনে করছেন, গোয়া এবং বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে চেষ্টা করলে ম্যাচ জেতা যায়।
রবিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে যে যে ফুটবলাররা খেলেছিলেন, এদিন সবাইকে বিশ্রাম দেন ফাউলার। আগেরদিন ১৫ মিনিট খেললেও এদিন প্র্যাকটিস থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল ব্রাইটকেও। বাকি ফুটবলাররা অবশ্য প্র্যাকটিস করেন। এসসি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে দু’জন বিদেশি ফুটবলারের সঙ্গে পরের মরশুমের চুক্তি হয়ে গেলেও ব্রাইট চুক্তি করেছেন শুধু এই মরশুমের জন্যই। জানিয়েছেন, এই মরশুম আইএসএল খেলার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে মাত্র ২২ বছর বয়সী ব্রাইটকে পরের মরশুমে পাওয়া নিয়ে রীতিমতো সন্দেহ রয়েছে লাল—হলুদ কর্তাদেরই।