সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারের বাণী নাকি নীরবে নিভৃতে কাঁদে। কেন? ‘প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে’। ভারতীয় বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে এই ‘অপরাধ’ আজও ঘোর বাস্তব। যে বাস্তবের কঠিন মাটিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভেঙে চুরমার হয়ে যায় দরিদ্রের সুবিচারের স্বপ্ন। বিশেষ করে নিপীড়িত নারীর ক্ষেত্রে। ধর্ষণ প্রমাণ করার জ্বালা তাঁদের থেকে বেশি বোধহয় আর কাউকেই সহ্য করতে হয় না। এই জ্বালা যাঁরা সয়েছেন, তাঁরাই বুঝতে পারবেন এর যন্ত্রণা। তাই সমাজের এই কন্যাদের হাতেই বিচার চাওয়ার ক্ষমতা দিতে উদ্যোগী হয়েছে নেদারল্যান্ডসের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ফ্রি আ গার্ল’।
[কুলভূষণ যাদবের মায়ের ভিসার আবেদন বিবেচনা করছে পাকিস্তান]
যৌন নিগ্রহ ও পাচারের হাত থেকে যে সমস্ত মেয়েদের উদ্ধার করা হয়েছে। সেই মেয়েদেরই আইন পড়াতে উদ্যোগী হয়েছে এই সংস্থা। এর জন্য খোলা হয়েছে ‘স্কুল ফর জাস্টিস’। যেখানে অল্প বয়সে যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়া মেয়েদের নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের আইন নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে যথাযথ প্রশিক্ষণ। যাতে তাঁরা ভবিষ্যতে আইনজীবী হয়ে নিজের মতো যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়া মেয়েদের জন্য এজলাসে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে পারেন।
[চাকরি হারানোর আশঙ্কায় চারতলা থেকে মরণঝাঁপ ইঞ্জিনিয়ারের]
চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। প্রথম দফায় পাচারের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া ১৯ জন মেয়েকে বেছে নেওয়া হয়েছে। যাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চার জন কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেছেন। বাকিদের আরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং পরের বছর আবার যাতে তাঁরা প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হবে। এই মেয়েদের থাকা, খাওয়া থেকে পড়াশোনার খরচ, সবই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বহন করবে। শুধু তাঁদেরই নয়, পাচারের হাত থেকে কিংবা যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের এভাবেই তাঁদের স্বাবলম্বী করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ব্রতী হয়েছে এই সংস্থা।
[ভিসার গেরোয় আটকে বিয়ে, সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের]
The post সুবিচার ছিনিয়ে আনতে নির্যাতিতাদেরই আইনজীবী করে তুলবে এই সংস্থা appeared first on Sangbad Pratidin.