বি গার্ডেন চত্বরে আবর্জনার স্তূপ, নষ্ট হচ্ছে সবুজ, প্রশাসনকে চিঠি দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ

02:01 PM Jan 09, 2023 |
Advertisement

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: পাঁচিল টপকে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন চত্বরে ফেলা হচ্ছে প্লাস্টিকের বোতল বা প্লাস্টিকে ভরে আবর্জনা। ফলে পরিবেশ দূষণের জেরে ক্ষতি হচ্ছে গার্ডেনের গাছপালার। এই আবর্জনা গার্ডেনের নালা হয়ে মিশছে ২৪টি পুকুরেও। যার জেরে গাছের জন্য সংরক্ষণ করা পুকুরের জলও দূষিত হচ্ছে।

Advertisement

গার্ডেন কর্তৃপক্ষের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতার অভাবেই এমনটা হচ্ছে। আশপাশের বাড়ি বা বহুতল থেকে নোংরা আবর্জনা প্লাস্টিকে মুড়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতরে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী পথচলতি মানুষও এ কাজ করছেন। এর জেরে নষ্ট হচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম বোটানিক্যাল গার্ডেন।

Advertising
Advertising

 

[আরও পড়ুন: ‘গোটা বিশ্ব আমাদের মাতৃভূমি’, G20 সম্মেলনে বললেন মুখ্যমন্ত্রী, তুলে ধরলেন বাংলার প্রকল্পগুলি]

গঙ্গার ধারে ২৭৩ একর জমির উপর তৈরি শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের অধিকাংশ এলাকাই পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। বি গার্ডেন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, জঞ্জাল ফেলার বিষয়টি আন্দুল রোডের বকুলতলা গেটের কাছে বিশেষভাবে হচ্ছে। ওখানকার স্থানীয়রা পাঁচিলের উপর দিয়ে গার্ডেন চত্বরে জঞ্জাল ফেলছেন। এমনকী, পথচলতি মানুষও অনেকসময় ওখানে প্লাস্টিকে মুড়ে আবর্জনা ফেলে দিচ্ছেন। এর জেরে গার্ডেনের বেশ কয়েকটি নিকাশি নালা বুজে গিয়ে গঙ্গার জল ওই নালা দিয়ে গার্ডেনের ভিতরের পুকুরগুলিতে প্রবেশ করতে পারছে না বা বর্ষার জল বেরোতে পারছে না।

ব্রিটিস আমল থেকেই শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনকে সুরক্ষিত রাখতে এই পুকুরগুলি তৈরি করা হয়েছিল। গার্ডেনের সাফাই কর্মীরা অভিযানে নেমে নালাগুলি থেকে প্রচুর আবর্জনা ভরতি প্লাস্টিক, প্লাস্টিকের বোতল বা ওই ধরনের জঞ্জাল পেয়েছেন। বোটানিক্যাল গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দর সিং এ প্রসঙ্গে বললেন,”গার্ডেন চত্বরে আবর্জনা না ফেলতে আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিপূর্বেই সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে হাওড়া পুরসভার সঙ্গেও কথা বলা হবে। যাতে যতটা এলাকা নিয়ে বি গার্ডেন চত্বর রয়েছে সেখানে আরও বেশী করে পুরসভা ভ্যাট তৈরি করে। পুরসভা আরও ভ্যাট তৈরি করলে বাসিন্দারা পাঁচিল টপকে বি গার্ডেনের ভিতর আবর্জনা না ফেলে পুরসভার ওই ভ্যাটেই জঞ্জাল ফেলতে পারবেন।’’

[আরও পড়ুন: দিল্লি হাই কোর্টে পিছল ইডি’র মামলার শুনানি, স্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল]

Advertisement
Next