সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ব্যালট নয়, ভোট হবে ইভিএমেই। নির্বাচন চলাকালীনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তাছাড়াও ইভিএমের সঙ্গে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখার আর্জি খারিজ হয়ে গেল শীর্ষ আদালতে। ভোটারদের হাতে ভিভিপ্যাট স্লিপ তুলে দেওয়ার দাবিও শীর্ষ আদালতে নাকচ হয়ে গিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনকে ভিভিপ্যাট সংক্রান্ত দুটি নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই সুপ্রিম কোর্টে ইভিএমের (EVM) ভোটের সঙ্গে ভিভিপ্যাট (VVPAT) স্লিপ মিলিয়ে দেখার আবেদনের শুনানি শুরু হয়। ব্যালটে ভোটগ্রহণ চেয়েও আবেদন জমা পড়ে। ভোটে কারচুপি রুখতে ভোটারদের হাতে ভিভিপ্যাট স্লিপ তুলে দেওয়ারও প্রস্তাব ওঠে। তবে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, তিনটি আর্জিই খারিজ করা হল। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের মতে, অন্ধভাবে কোনও ব্যবস্থাকে অবিশ্বাস করলে অযৌক্তিক সন্দেহ তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: বুলেটে ব্যালট রোখার ছক জেহাদিদের! ভোটের কাশ্মীরে খতম লস্কর জঙ্গি]
প্রসঙ্গত, কমিশনের (Election Commission) কাছে ইভিএমের প্রযুক্তি সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয়ে ব্যাখ্যা চায় সুপ্রিম কোর্ট। আধিকারিকদের জবাবে 'সন্তুষ্ট' হয়ে আদালত জানিয়েছিল, ”সব কিছুকে সন্দেহ করা ঠিক নয়। সব কিছুরই আপনারা সমালোচনা করতে পারেন না। যদি কমিশন কিছু ভালো কাজ করে থাকে সেটাও স্বীকার করতে হবে। সব কিছুরই নিন্দা করলে হবে না।” রায়দানের সময়েও সেই কথাই বলেছেন বিচারপতি দত্ত। তাঁর মতে, গণতন্ত্রের সমস্ত স্তম্ভের উপর আস্থা রাখলেই দেশজুড়ে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
তবে ইভিএম নিয়ে কমিশনকে দুটি নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রতীক লোড করে দেওয়ার পরে ইভিএম সিল করে দিতে হবে। ৪৫ দিনের জন্য এই ইভিএম সংরক্ষণ করতে হবে। তাছাড়াও দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীদের অনুরোধে ইভিএমের পুড়ে যাওয়া মাইক্রোকন্ট্রোলার খতিয়ে দেখতে পারেন ইঞ্জিনিয়াররা। তবে খরচ বহন করতে হবে প্রার্থীদের। ইভিএমের কারচুপি ধরা পড়লে প্রার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।