shono
Advertisement

সৌরঝড়ের দাপটে মহাকাশে হারাল ৪০ টি স্যাটেলাইট, বিপুল ক্ষতির মুখে এলন মাস্কের সংস্থা

একসঙ্গে ৪৯টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল স্পেস এক্স।
Posted: 02:51 PM Feb 09, 2022Updated: 02:51 PM Feb 09, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা, সতর্কবার্তা ছিলই। সেসব সত্যি করে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে টানা চারঘণ্টা দাপটে দেখাল সৌরঝড় (Solar Flare)। আর তাতেই উৎক্ষেপণের মাত্র একদিন পরই হারিয়ে গেল স্পেস এক্স (SpaceX) সংস্থার অন্তত ৪০ টি স্যাটেলাইট। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে একসঙ্গে ৪৯ টি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরদিনই সৌরঝড়ের মুখে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ৪০টি। এতে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে স্পেস এক্স। তবে বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ গবেষণা শুরু করা এলন মাস্কের সংস্থা এই ক্ষতি আপাতত মেনে নিচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হাজার বছর ধরে এক জায়গায় স্থির! সন্ধান মিলল পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহাণুর, উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা]

গত সপ্তাহে আমেরিকার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন-৯ (Falcon-9) রকেটে করে ৪৯ টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল পৃথিবীর কক্ষপথে। ফ্যালকন-৯’এর নানা শ্রেণির রকেটই সাধারণত ব্যবহার করে থাকে স্পেস এক্স। লক্ষ্য ছিল, পৃথিবীর কক্ষপথের ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত এই স্যাটেলাইটগুলিকে স্থাপন করে নানা তথ্য পাওয়া। এমনকী এই আসন্ন সৌরঝড়টিও পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রকে কতখানি প্রভাবিত করতে পারবে, সে সম্পর্কে আভাস পাওয়াও ছিল এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলি উৎক্ষেপণের একটি বড় লক্ষ্য। বলা হচ্ছে, তারা তাদের কাজ করেছে সাফল্যের সঙ্গেই। কারণ, সফল উৎক্ষেপণের পর ৪৯ টি স্যাটেলাইট (Sattelite) যথাযথ স্থানে পৌঁছে কাজ শুরু করে।

কিন্তু ঠিক তার পরেরদিনই আছড়ে পড়ে সৌরঝড়ে। সূর্যশিখার দাপটে ৪০ টি স্যাটেলাইট কক্ষচ্যুত হয়ে বহুদূরে ছিটকে যায়। স্পেস এক্সের বিশেষজ্ঞদের মতে, যতটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে অন্তত ৫০ গুণ বেশি শক্তিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপর আছড়ে পড়েছে সূর্য থেকে আসা বিকিরণ। আর তাতেই এতগুলি স্যাটেলাইটের এই দশা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঝড় G2 শ্রেণির, অর্থাৎ মধ্যম শক্তিশালী। সূর্যের M1 স্তর থেকে ঠিকরে বেরনো শিখা সম্মিলিতভাবে এই ঝড়ের উৎস। এই সৌরঝড় মহাকাশের সমস্ত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তু, বর্জ্যকে মহাশূন্যে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বলা হচ্ছে, এই সৌরঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল বেশ খানিকটা। তা স্থায়ী ছিল ৪ ঘণ্টা। জিপিএস থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথেই এই ঝড় বেশি প্রভাব ফেলেছে।

[আরও পড়ুন: লক্ষ্য গ্রামীণ অর্থনীতি ও পরিকাঠামোর উন্নয়ন, ৯ দপ্তরের জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাজ্যের]

স্পেস এক্সের স্টারলিংক টিম অর্থাৎ যে বিজ্ঞানী দলটির নেতৃত্বে এই ৪৯ টি স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছিল, তারা জানাচ্ছে, কক্ষপথের ওই স্থানে থাকার কারণেই তা সৌরশিখার ঝাপটা সামলে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে পারেনি। তবে এই সৌরঝড় যে শেষপর্যন্ত পৃথিবীর জিপিএস সিস্টেমের বড় কোনও ক্ষতি করতে পারেনি, তাতেই খানিকটা নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement