সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবার সে এসেছে ফিরিয়ে! মহামারীর দুঃস্বপ্ন ভোলার আগেই সবুজ-নীল-গ্রহে ফের কোভিড আতঙ্ক। সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN.1 নিয়ে চিন্তায় বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের আগস্ট মাসে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট EG.5 এবং BA.2.86-এর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। সেবার সতর্কতা হিসেবে সংক্রমণ রুখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে কেন্দ্র। আবারও মহামারীর নতুন রূপ আতঙ্ক জাগাচ্ছে।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ আগস্ট লুক্সেমবার্গে প্রথমবার চিহ্নিত হয় সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN.1। লুক্সেমবুর্গ ছাড়াও এই ভ্যারিয়েন্টে হদিশ মেলে ইংল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফ্রান্স এবং আমেরিকায়। বিজ্ঞানীরা হতবাক কোভিডের অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় JN.1-এর বিপুল পার্থক্য দেখে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকা-সহ পাশ্চাত্যের একাধিক দেশে কোভিডের XBB.1.5 ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছিলেন অধিকাংশ মানুষ। সেকথা মাথায় রেখে ভ্যাকসিনের বুস্টার তৈরি করা হয়েছিল। যা নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে কাজ করবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীদের রাতের ঘুম কেড়েছে ভ্যারিয়েন্ট JN.1। যেহেতু সেটি কোভিডের পুরনো ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় অনেকটাই আলাদা।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ভোটপ্রচারে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল, মৃত্যু পথচারীর]
কোভিড রুখতে দিন-রাত এক করে কাজ করে চলা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নতুন ধরনের স্পাইক প্রোটিন শক্তি বাড়িয়েছে এই ভ্যারিয়েন্টের। ফলে তা একইসঙ্গে অতিসংক্রামক এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংসকারী। এর অর্থে বর্তমান উপলব্ধ কোভিডের ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে কাজ করবে না। গবেষকদের দাবি, ভ্যারিয়েন্টের এমন বিপুল পার্থক্য দেখা গিয়েছিল কোভিডের সেই শুরুর দিনে, আলফা এবং বেটার মধ্যে। তবে কি ফিরতে চলছে ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের দিন? কিছুটা আস্বস্ত করছে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভেনশন। এই সংস্থার দাবি, ভ্যাকসিনের আপডেটেড বুস্টার ভ্যারিয়েন্ট JN.1-কে রুখে দিতে সক্ষম বলেই মনে করা হচ্ছে।