shono
Advertisement

Breaking News

একা ওমিক্রনে রক্ষে নেই, সন্ধান মিলল আরও ছোঁয়াচে নয়া উপপ্রজাতির

দেশে বর্তমানে যে দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার নেপথ্যে রয়েছে এটিই।
Posted: 04:36 PM Jan 11, 2022Updated: 04:36 PM Jan 11, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একা ওমিক্রনে রক্ষে নেই, ইতিমধ্যেই আবার আসরে নেমে পড়েছে ওমিক্রনের (B.1.1.529) ‘ভাই’ (সাব লিনিয়েজ তথা উপপ্রজাতি)। একে চিহ্নিত করা হয়েছে BA.1 হিসাবে। কোভিড ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে গবেষণাকারী বিজ্ঞানীরাই জানিয়েছেন এই কথা। তাঁদের দাবি, ইতিমধ্যেই এই নতুন উপপ্রজাতি মহারাষ্ট্র-সহ দেশের আরও কিছু রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণের আধিক্যে ‘ডেল্টা’র জায়গা নিচ্ছে সে। এখনও পর্যন্ত যতটুকু তথ্য মিলেছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে BA.1 অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং দেশে বর্তমানে যে দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তার নেপথ্যে রয়েছে এটিই। এর উপসর্গ তেমন নেই, অসুস্থতাও খুব কম, সেভাবে হাসপাতালে ভরতি করে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন নেই।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটির প্রধান রূপটি ছাড়াও তিনটি সাব লিনিয়েজের তথ্য এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে এসেছে। এক BA.1, দুই BA.2 এবং তিন BA.3। এর সাব লিনিয়েজগুলিতে অ্যামাইনো অ্যাসিডের ৬৯-৭০ বিন্যাসে একটি ‘ডিলিশন’ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ভরসা হিন্দুত্ব! তিথি নক্ষত্র মেনে উত্তরপ্রদেশের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করবে বিজেপি]

এদিকে, দেশে হু হু করে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে ঠিকই। কিন্তু এর মধ্যে কেবলমাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ সক্রিয় কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভরতি করে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন পড়ছে। যদিও এই ছবিটা দ্রুত বদলে যেতে পারে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে লেখা একটি চিঠিতে ভূষণ জানিয়েছেন, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সক্রিয় করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভরতির হার ছিল অনেকটাই বেশি, ২০-২৩ শতাংশ।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সোমবার দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,৭৯,৭২৩ জন। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৭,২৩,৬১৯ জন। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ১৩.২৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। আর ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪,০৩৩ জন।

[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে বড় ধাক্কা বিজেপির, দলিতদের অবহেলার অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন যোগীর মন্ত্রী]

এদিকে, আইআইটি কানপুরের গণিত এবং কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক, মণীন্দ্র আগরওয়াল সোমবার জানিয়েছেন, চলতি বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব মোটামুটি শেষ হয়ে যাবে। দিল্লি এবং মুম্বইয়ে যে হারে সংক্রমণ এখন বাড়ছে, পরে তাও হ্রাস পাবে দ্রুতই। তবে বর্তমানে মুম্বইয়ে তৃতীয় ঢেউ শিখরে পৌঁছবে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে। দিল্লির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। প্রাথমিক গণনা বলছে, গোটা দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে সংক্রমণ শিখরে উঠতে পারে ফেব্রুয়ারির গোড়ায়। দৈনিক চার থেকে আট লক্ষ সংক্রমণও ঘটতে পারে সেইসময়।]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement