সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিঙ্ঘু সীমান্তে ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এবার আন্দোলকারী কৃষকদের উপর পাথরবৃষ্টি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ পুলিশের।
[আরও পড়ুন: ‘রসিকতার জন্য সাফাইয়ের দরকার নেই’, আদালত অবমাননার অভিযোগে ক্ষমা চাইবেন না কুণাল কামরা]
বৃহস্পতিবার, কৃষক মহাজোটে ফাটল থেকে শুরু করে কৃষকনেতা রাকেশ টিকাইতের কান্না পর্যন্ত নানা নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকে গোটা দেশ। প্রাথমিকভাবে মনে হয় চাষীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু তারপরই টিকাইত সাফ জানিয়ে দেন আন্দোলন চলবে। তারপরই, শুক্রবার অর্থাৎ আজ ঘটনাস্থলে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কৃষকদের উপর হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ছোঁড়া হয় ইট ও পাথর। পালটা পাথরবৃষ্টি করে আন্দোলনকারীরা। পুলিশের তাঁবুতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের উপর তলোয়ার নিয়ে হামলা চালায় প্রতিবাদীরা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় দু’মাস ধরে দিল্লির সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বন্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। এর ফলে রীতিমতো বিপাকে পড়তে হয়েছে তাঁদের। দ্রুত কৃষকদের হঠিয়ে দিক প্রশাসন, এমনটাই দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, গতকাল গাজিপুর সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের একপ্রকার জোর করে তুলে দেওয়ার ছক কষেছিল উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে গাজিপুরে কৃষকদের বিক্ষোভস্থল (Protest) খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় যোগী সরকার। সেখানে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। বিক্ষোভস্থল কার্যত ছেয়ে ফেলা হয় নিরাপত্তারক্ষীতে। এমনকী ৪ কোম্পানি র্যাফ মোতায়েন করা হয়। ওই বিক্ষোভস্থলে বিদ্যুৎ এবং জলের সরবরাহ আগে থেকেই অনিয়মিত করে দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে যান ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত (Rakesh Tikait)। যার বিরুদ্ধে কিনা দেশদ্রোহিতার মামলা করেছে সরকার। টিকাইত ঘটনাস্থলে যেতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি ষড়যন্ত্র করে বিক্ষোভ বন্ধ করে দিতে চাইছে। তারপরও ফের প্রতিবাদ শুরু করেছেন চাষীরা।