নব্যেন্দু হাজরা ও অর্ণব আইচ: সময়ের অনেকটা আগেই খুলে দেওয়া হল শিয়ালদহ ফ্লাইওভার (Sealdah Flyover)। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেলের কাজের জন্য শিয়ালদহ ফ্লাইওভারের একাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার ফলে মৌলালি ও রাজাবাজার থেকে বহু যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
কেএমআরসিএল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘উর্বী’ সফলভাবেই সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শিয়ালদহ ফ্লাইওভারের তলা পার হয়ে গিয়েছে। কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। তাই নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে রাতেই পুলিশ ও কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ শিয়ালদহ ফ্লাইওভার সম্পূর্ণভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার সকাল ৬টার পর থেকে ফ্লাইওভার সম্পূর্ণভাবে খোলার কথা ছিল। তার প্রায় সাত ঘণ্টা আগেই চালু করে দেওয়া হয় ফ্লাইওভার। তার ফলে ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে রাতেই যানবাহন চলাচল শুরু করে। মঙ্গলবারও ফ্লাইওভারের উপর মসৃণভাবেই যান চলাচল করবে বলে আশা পুলিশের।
[আরও পড়ুন: ২০১৪’র প্রাথমিক টেট মামলায় নয়া মোড়, উত্তরপত্র ফের যাচাইয়ের নির্দেশ আদালতের]
এদিকে, এবার ভাড়া বৃদ্ধি নয়, ডিজেলের উপর ট্যাক্স কমানোর দাবিতে সোচ্চার বাসমালিকরা। তাদের দাবি, ডিজেলের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে ভাড়া বাড়িয়েও বিশেষ লাভ হবে না। তাই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে পেট্রোপণ্যের উপর ট্যাক্স কমাতে হবে। তবেই গাড়ি চলবে। না হলে সব বাস বসে যাবে।
এবিষয়ে মঙ্গলবার বেশিরভাগ বাস সংগঠন নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসছে। সেখান থেকেই তাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে। তবে সূত্রের খবর, চলতি মাসেই টানা ধর্মঘটে যেতে পারেন তারা। এমনিতেই রাস্তায় সরকারি বাস কমেই চলেছে। রাতের দিকে তো দেখাই যায় না। তার উপর বেসরকারি বাসও যদি ধর্মঘটে যায় তবে মানুষের ভোগান্তি চূড়ান্ত আকার নেবে। ভোটের মুখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই এখন রাজ্য সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ। তবে সাধারণ যাত্রীদের দাবি, বাসমালিকরাও ভোটের সুযোগ নিয়ে এখন সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। ডিজেলের দাম বেড়েছে তা ঠিক কথাই, কিন্তু বাসের ভাড়াও তো প্রতি ধাপে তিন টাকা, চার টাকা করে কন্ডাক্টররা বাড়িয়েই নিয়েছেন লকডাউনের পর থেকেই। যত খুশি যাত্রীও তোলা হচ্ছে। তা হলেও কেন প্রায় দিনই এই ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া!