সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের সভাপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (CWC)। তার ঠিক আগের দিন পর্যন্ত কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। শনিবার গুলাম নবি আজাদের পথ ধরেই দল ছেড়েছেন আরেক প্রাক্তন সাংসদ। তেলেঙ্গানার বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ এম এ খানও (MA Khan) নিজের দল ছাড়ার কারণ হিসাবে রাহুল গান্ধীর ‘অপদার্থতা’কেই দায়ী করেছেন।
নিজের ইস্তফাপত্রে গুলাম নবি আজাদের মতোই রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) কাঠগড়ায় তুলেছেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। তাঁর বক্তব্য, দলে সিনিয়রদের যথাযথ সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। যেদিন থেকে রাহুল গান্ধী দলের সহ-সভাপতি হয়েছেন, সেদিন থেকে সিনিয়র নেতাদের গুরুত্ব কমে গিয়েছে। আগে কংগ্রেস (Congress) সভাপতি দলের অন্দরে আলোচনা করে সবরকম সিদ্ধান্ত নিতেন। যেসব সিনিয়র নেতারা দলের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হত। কিন্তু রাহুল সভাপতি থাকাকালীন সেটা হয়নি।
[আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকের পাশে স্বমহিমায় ‘জেলবন্দি’ অনুব্রতর ছবি, বীরভূমজুড়ে তোরণ TMCP’র]
আজাদ, এমএ খানের ইস্তফা নিয়ে অস্বস্তির মধ্যেই আজ জরুরি বৈঠকে বসছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। সোনিয়া (Sonia Gandhi), রাহুল, প্রিয়াঙ্কা, গান্ধী পরিবারের এই তিন সদস্যই এখন দেশের বাইরে। সোনিয়ার চিকিৎসা করাতে গিয়ে লন্ডনে আছেন তাঁরা। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁরা যোগ দেবেন এদিনের বৈঠকে। রবিবারের বৈঠকেই দলের সভাপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার ঠিক এভাবে আজাদের দল ছাড়া সব অঙ্কই ওলট-পালট করে দিয়েছে। এদিনের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রীতিমতো গোলাগুলি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বিক্ষুব্ধ শিবিরও প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই আজাদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের একটি বৈঠক করেছেন আরেক বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। তিনি এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
[আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকের পাশে স্বমহিমায় ‘জেলবন্দি’ অনুব্রতর ছবি, বীরভূমজুড়ে তোরণ TMCP’র]
মোটামুটিভাবে যা ঠিক হয়েছিল তাতে সভাপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঠিক করার পরই রাহুল গান্ধীকে ফের সভাপতি হওয়ার জন্য অনুরোধ করবেন গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠরা। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁকে রাজি করানোটা আরও কঠিন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে অশোক গেহলটকেই সভাপতি পদের প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়া হতে পারে। গেহলট (Ashok Gehlot) আবার শর্ত দিয়েছেন, তিনি দলের সভাপতি হলে শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা যাবে না।