সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি দলে নাম লেখানো কাশ্মীরের বাসিন্দাদের পাকিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে সাহায্য করছে কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর জেরে কাশ্মীরের কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার উপরে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে এনআইএ (NIA) -এর এক মুখপাত্র জানান, কাশ্মীরের কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বৈধ পরিচয়পত্র ও সঠিক কাগজ জোগাড় করে জঙ্গি দলে নাম লেখানো কাশ্মীরিদের আইনি পথে পাকিস্তানে (Pakistan) ঢোকার ব্যবস্থা করছে। এর ফলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাশ্মীরের বেশ কিছু নতুন জঙ্গি সড়কপথে পাকিস্তানে ঢুকে অস্ত্র-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তাই বেশ কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অটুট দেশের সংস্কৃতি, অযোধ্যায় হতে চলা মসজিদের জন্য প্রথম অনুদান দিলেন এক হিন্দু ]
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখপাত্রের এই মন্তব্যের ঠিক আগেই গত বৃহস্পতিবার জম্মুর এনআইএ আদালতে একটি হলফনামা জমা করা হয়েছে। যাতে কাশ্মীরের কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নামে অভিযোগ করা হয়েছে যে তারা দুই লস্কর জঙ্গি ও তাদের এক সহযোগীকে বৈধ ভারতীয় কাগজপত্র দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিল। আর সেই কাগজপত্র নিয়ে ওই তিন জন পাকিস্তানে গিয়ে ঘুরেও এসেছিল।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এক মুখপাত্র এসম্পর্কে বলেন, দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার বাসিন্দা মুনিব হামিদ ভাটকে লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি সংগঠনে ঢুকিয়ে ছিল তারই এক প্রতিবেশী জুনিদ আহমেদ মাট্টু। লস্করে যোগ দেওয়ার ২০১৭ সালের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে। আর তাকে এই বিষয়ে বৈধ কাগজপত্র পেতে সাহায্য করেছিল কাশ্মীরের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। আর পাকিস্তানের থেকে ঘুরে আসার পর স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল মুনিব হামিদ ভাট।