সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের ইউজারদের জন্য নতুন Disappearing ফিচার এনেছে জনপ্রিয় সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। অর্থাৎ যে ফিচার চালু করা থাকলে কোনও ইউজার যদি আরেকজনকে ছবি বা ভিডিও পাঠান, তাহলে তা দেখা মাত্র আপনা থেকে মুছে যাবেন। আসলে স্ন্যাপচ্যাটকে টেক্কা দিতেই এই ফিচারটি এনেছে ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থাটি। তবে এই ফিচারটি দেখে অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন এতে অনায়াসেই এবার সেক্স চ্যাট বা গোপন কথোপকথন করা সম্ভব। কিন্তু না, বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা কখনওই করা উচিত নয়। আর তার পিছনে নির্দিষ্ট কারণও জানিয়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি ইউজারদের জন্য Disappearing মেসেজ বা ফিচারটি এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই মেসেজিং অ্যাপের সেটিংসে গিয়ে ফিচারটি শুধু ‘অন’ করতে হবে ইউজারকে। তাহলেই অন্য কাউকে পাঠানো ভিডিও বা ছবি কিংবা মেসেজ সেই ইউজার দেখা মাত্রই ডিলিট হয়ে যাবে। যা কিনা অনেকটাই স্ন্যাপচ্যাটের মতো। ওই অ্যাপটিতেও আসলে এই একই ধরনের ফিচার রয়েছে। আর এই ফিচারটি দেখে অনেকেই মনে করছেন, এখানেও তাহলে স্ন্যাপচ্যাটের মতো চাইলেই সেক্স চ্যাট করা যাবে। কিংবা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও বা ছবি পোস্ট করা যাবে। আর এখানেই আপত্তি বিশেষজ্ঞদের।
[আরও পড়ুন: এবার সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করানোর পদ্ধতি শেখাবে বঙ্গের নয়া ওয়েবসাইট]
কিন্তু কেন এমন আপত্তি তুলছেন তাঁরা? আসলে স্ন্যাপচ্যাটের ক্ষেত্রে এরকম ফিচার থাকলেও যাঁকে এই ছবি বা ভিডিও পাঠানো হবে তিনি চাইলেই স্ক্রিনশট বা স্ক্রিন রেকর্ডিং করতে পারবেন না। এই কাজ করতে গেলেই যে ইউজার ওই ছবি বা ভিডিওটি পাঠিয়েছেন তাঁর কাছে মেসেজ চলে যাবে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ হুবহু ফিচার চালু করলেও স্ক্রিনশট বা স্ক্রিন রেকর্ডিং বন্ধ রাখা বা অপর ইউজারকে নোটিফিকেশন দিয়ে তা জানানোর অপশন রাখেনি। আর সেকারণেই এটি মোটেই নিরাপদ নয়। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এই ব্যবস্থা না থাকার কারণেই হোয়াটসঅ্যাপ এই ধরনের ‘দুষ্টুমিষ্টি’ মেসেজের জন্য মোটেই সুরক্ষিত নয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ইউজারদের গোপনীয়তা রক্ষা না করার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে নজরদারি চালানোর। আর তাই সমস্তটা বিবেচনা করেই বিশেষজ্ঞদের এই মত।