সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠেকিয়েছিলেন নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলাতেও দারুণ কাজ করেছিলেন। এই অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন কেরলের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা (K K Shailaja)। কিন্তু তাঁকেই এবার ক্যাবিনেটে রাখলেন না কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
‘ঈশ্বরের আপন দেশে’র দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে পরপর দু’বার কেরলের মসনদে বসলেন পিনারাই বিজয়ন। বিপুল সংখ্যাগিরষ্ঠতা নিয়ে কেরলে ক্ষমতায় ফিরল বাম জোট এলডিএফ। বদল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী। এই কুরসিতে বসছেন পিনারাই বিজয়নই। মনে করা হয়েছিল, জনপ্রিয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বদল করা হবে না। কিন্তু সকলকে চমকে ক্যাবিনেটের পুরনো ১১ সদস্যকে ছেঁটে ফেলল এলডিএফ। বদলে নবীন-প্রবীণ মিশেলে মন্ত্রিসভা গড়ছেন বিজয়ন।
[আরও পড়ুন : আপাতত যাওয়া যাবে না পুরী-দার্জিলিং! বাতিল দূরপাল্লার ১০টি স্পেশ্যাল ট্রেন]
কয়েক বছর আগে কেরলে বিদ্যুতের গতিতে নিপা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সুদক্ষ প্রশাসনিক দক্ষতায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছিলেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। তবে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি পান কোভিড সামাল দিয়ে। সংক্রমণ কমানোর ক্ষেত্রে একসময় গোটা দেশের কাছে মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছিল কেরল। আর সবটাই হয়েছিল কে কে শৈলজার হাতযশে। ব্রিটেন, আমেরিকা থেকেও তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বহু মানুষ। এবার বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। তবু ক্যাবিনেটে জায়গা পেলেন না তিনি।
[আরও পড়ুন : ভোট পরবর্তী হিংসায় SIT গঠনের দাবি নিহতদের পরিবারের, রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের]
এ প্রসঙ্গে কেরল সিপিআইএমের নেতা এএন সামশের জানান, “মুখ্যমন্ত্রী বাদে ক্যাবিনেটের বাকি ১১ জন সদস্যই হবে নতুন মুখ। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে তৈরি হবে এবারের মন্ত্রিসভা।” কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? ভাল কাজ করেও কেন বাদ পড়লেন শৈলজা? জবাবে সিপিআইএম নেতা এএন সামশের বলেন, এটা দলগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বই বলতে পারবেন। তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, গতবার সরকারের মেয়াদের শেষের দিকে সোনা পাচার কাণ্ডে একাধিক মন্ত্রী ও তাঁদের আত্মীয়দের নাম জড়িয়েছিল। এবার সেই দাগ মুছতেই কি ক্যাবিনেটে খোলনলচে বদলাচ্ছে বামেরা? উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন বিজয়নের জামাই পিএ মহম্মদ রিয়াজ। সদস্য হচ্ছেন দলের সম্পাদক বিজয়ওয়াড়াগভনের স্ত্রী আর বিন্দুও। যা দেখে অনেকেই পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলছেন।