shono
Advertisement

‘১০০ টাকাও দেননি কখনও’, জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওড়ালেন শংকর

জ্যোতিপ্রিয়র লেখা রহস্যময় চিঠির সত্যতা অস্বীকার করলেন ধৃত তৃণমূল নেতা।
Posted: 04:52 PM Jan 08, 2024Updated: 05:19 PM Jan 08, 2024

বিধান নস্কর, সল্টলেক: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির জালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ‘ঘনিষ্ঠ’ শংকর আঢ্য। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র মেয়েকে লেখা চিঠিতেই নাকি উল্লেখ রয়েছে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর। তবে এই রহস্যময় চিঠির সত্যতা অস্বীকার করলেন ধৃত তৃণমূল নেতা। একশো টাকাও কোনওদিন জ্যোতিপ্রিয় দেননি বলেই দাবি শংকরের।

Advertisement

গত ৫ জানুয়ারি রাতে গ্রেপ্তার হন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। আদালতের নির্দেশে আপাতত ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে তৃণমূল নেতা। আপাতত সিজিও কমপ্লেক্সে রয়েছেন তিনি। শারীরিক পরীক্ষার জন্য সোমবার তাঁকে সেখান থেকে বের করা হয়। সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হন শংকর। তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হয় এত টাকা কোথা থেকে এল? জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়েকে চিনতেন? জ্যোতিপ্রিয় চিঠি দিয়েছিলেন? টাকার লেনদেন হয়েছে?  প্রায় প্রতিটি প্রশ্নেরই জবাব দেন তৃণমূল নেতা। বলেন, “এত ভালো সম্পর্ক থাকলে জ্যোতিপ্রিয় আমাকে সরিয়ে দিলেন কেন? কেন পুরসভায় আমাকে টিকিট দিলেন না?”

উল্লেখ্য, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শংকর আঢ্য। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁয় তৃণমূলের ফল একেবারেই আশানুরূপ হয়নি। পুর প্রশাসক পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই জল্পনা মাথাচাড়া দেয়। এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক কাউন্সিলর অনাস্থা আনেন। পুর প্রশাসক পদ থেকে সরে যান শংকর আঢ্য। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শংকরের সম্পর্কে ফাটল ধরে। গত পুর নির্বাচনেও টিকিট পাননি বনগাঁর তৃণমূল নেতা।

[আরও পড়ুন: স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কারা সুবিধা পাবেন?]

রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা শংকর আঢ্য বিদেশে পাচার করেছেন বলেও দাবি ইডির। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন প্রমাণ মিলেছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। সেই সমস্ত অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন শংকর। তৃণমূল নেতার দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কোনওদিন তাঁকে ১০০ টাকাও দেননি। এছাড়া গত শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারকের কাছে ইডি একটি রহস্যময় চিঠির কথা উল্লেখ করেন।

ইডির দাবি, গ্রেপ্তারির পর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে মেয়ের উদ্দেশে একটি চিঠি লেখেন জ্যোতিপ্রিয়। ওই চিঠি সিআরপিএফের হাতে পড়ে যায়। পরিস্থিতি এমনই তৈরি হয় যে চিঠিটি খুলে পড়াও হয়। সেই চিঠিটিতে মোট চারজনের নাম ছিল। তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন শংকর আঢ্য ওরফে ডাকু। আর তার জেরেই গ্রেপ্তার শংকর আঢ্য। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের লেখা চিঠির সত্যতা অস্বীকার করেন শংকর। তাঁর দাবি, মন্ত্রীকন্যা প্রিয়দর্শিনীকেও তিনি চেনেন না।
দেখুন ভিডিও:

[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় বিলকিস বানোর, ধর্ষকদের ফিরতে হবে জেলেই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement