সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘ঘর ওয়াপসি’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিবার ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত ধরে গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন বিধায়ক। আর তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের মুখে তৃণমূল যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর পুরনো একটি মন্তব্য তুলে ধরে তাঁকে একহাত নেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। পালটা দিতে ছাড়েননি দেবাংশুও।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় দলবদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। তৃণমূল ছেড়ে একের পর এক নেতা পদ্মশিবিরে যোগ দেন। সেই সময় দেবাংশু একটি সভায় বলেছিলেন, “দলবদলুরা ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইলে আমি কালীঘাটে নেত্রীর বাড়ির দরজায় শুয়ে পথ আটকাব।” রাজীবের ঘর ওয়াপসি হতেই নতুন করে দেবাংশুর সেই মন্তব্য টেনে আক্রমণ শানিয়েছেন বাম নেতা-নেত্রীরা। ফেসবুক পোস্টে বামনেতা শতরূপ ঘোষের (Shatarup Ghosh) খোঁচা, “ওরে, একটা কচি ছেলে দরজার বাইরে শুয়ে আছে। আর কতজন পেটের ওপর দিয়ে মাড়িয়ে যাবি?”
[আরও পড়ুন: ‘আমি ওঁকে ঘৃণা করি’, কৈলাসকে বেনজির আক্রমণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের]
তবে চুপ করে কটাক্ষ সহ্য করার পাত্র নন দেবাংশুও (Debangshu Bhattacharya)। পালটা দিতে ছাড়লেন না। দলবদলুদের ঘরে ফেরাকে তৃণমূলের জয় বলেই ব্যাখ্যা করেন তিনি। তাঁরা যে ভুল বুঝতে পেরে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানছেন, এটাই তৃণমূলের সাফল্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, বিজেপি আরও দুর্বল হোক। ভবিষ্যতে তৃণমূল ভাঙতে যাওয়ার আগে তাঁদের হাত কেঁপে উঠুক। এই অপমানগুলি বিজেপির গালে দগদগে থাপ্পড়ের দাগের মতো বেঁচে থাক। ওরা বুঝুক, চাটার্ড ফ্লাইটের জ্বালানির খরচটাও সব সময় ওঠে না। আল্ট্রা বিউটিফায়েড যোগদান মেলার ডেকরেটরের খরচটাও গচ্চা যায়। ওরা বুঝুক ব্ল্যাক হর্স ভেবে বিশেষ বিমানে “অপমান” উড়িয়ে নিয়ে আসার উপর টাকা ঢালা কতটা বাজে ব্যাবসায়িক পদক্ষেপ! ওরা বুঝুক। ওদের মনোবল ভাঙুক। ভেঙে খানখান হয়ে যাক ওদের বেঁচে থাকা আত্মবিশ্বাসটুকু। সঙ্গে যোগ করেন, “তার বিনিময়ে চারটে মিম আর পাঁচটা টু লাইনার হজম করে নেব.. হজম করে নেব ওদের ডিঙিয়ে যাওয়ার “পিঠে” ব্যথাও..।”
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল যোগাযোগ করলে দেবাংশু জানান, “বাংলায় সিপিআইএম তৃণমূলকে ব্যঙ্গ করেই বেঁচে আছে। ওদের অস্তিত্ব শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর কোনওদিন দিন ওপরওয়ালা আমাকে মিসড কল দিলে সেই সেখান থেকেও ওরা উধাও হয়ে যাবে।” রাজীবকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে দেবাংশু বলেন, “এখানে আমি তো বলার কেউ নই। আমরা আদার ব্যাপারী। সে সময় এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতেই কথাগুলো বলেছিলাম। আবেগে বলেছিলাম। দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে বলেছিলাম। তবে তৃণমূল যা ঠিক মনে করেছে, সেটাই করেছে। বিজেপিতে যে ভাঙন ধরছে, সেটাই বড় প্রাপ্তি।” এরপরই শতরূপকে কটাক্ষা, “কসবা এলাকায় যে কচি লেনিন আছে, সে যে শুয়েছে, ১৫ বছরে এখনও উঠতে পারেনি। বিজেপির সঙ্গে সিপিএমের সম্পর্ক আছে। বিজেপি দুর্বল হচ্ছে, তাই ওদের কষ্ট হচ্ছে।”