সন্দীপ্তা ভঞ্জ: সোমবার, ২০ মে জীবনের ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprosad Mukherjee)। পঞ্চাশে পা দিলেন পরিচালক। সেইসঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতেও ৩০ বছর পূর্ণ হল তাঁর। অতঃপর পরিচালকের জন্য যে আজকের দিনটা 'ডবল ধামাকা', তা বোধহয় আর উল্লেখ করার প্রয়োজন হয় না। টেলিদর্শকদের সেই প্রিয় লালু থেকে তিনি আজ দর্শকদের নাড়ির স্পন্দন বুঝতে পারা সার্থক পরিচালক। নন্দিতা রায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রিকে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন শিবপ্রসাদ।
সম্প্রতি কোমরে চোট পেয়ে দিন কয়েক বিশ্রাম নিয়েছিলেন চিকিৎসকদের কড়া পরামর্শে। তবে 'বহুরূপী'র শুটিং শেষ করতে মরিয়া কাজপাগল মানুষটি খুব বেশিদিন বাড়িতে থাকতে পারেননি। সেটে ফিরে 'বহুরূপী'র শিডিউল শেষ করেছেন। ২৫ বছরের জুটিতে অগ্রজ নন্দিতা রায় তাঁর কাছে দিদি-সম। অতঃপর ভাইয়ের জন্মদিনে দিদির তরফে কী উপহার থাকছে? সেকথা জানতে সংবাদ প্রতিদিন যোগাযোগ করেছিল। নন্দিতা রায় বললেন, "শিবুকে দেওয়া আমার এই বছরের উপহার দুটি চরিত্র। আমাদের আগামী দুই ছবি - 'আমার বস' এবং 'বহুরূপী'তে দুটি অসাধারণ চরিত্রে অভিনয় করেছে শিবু। এটাই আমার তরফ থেকে ওকে দেওয়া উপহার। দারুণ ভালো করেছে দুটো চরিত্র এবং এই দুটি ছবিই ওঁর কাছে সেরা উপহারপ্রাপ্তি হিসেবে থেকে যাবে।"
আর 'অভিভাবিকা' হিসেবে ভাতৃসম শিবপ্রসাদকে কী শুভেচ্ছাবার্তা দিতে চান? সেই প্রশ্নের উত্তরে হেসেই নন্দিতা রায় জানালেন, "শিবু আমাকে মজা করে বলে, ‘আমার বস’। কিন্তু আমি মোটেও শিবুর ‘বস’ নই। আমরা সমানে সমানে একে অপরের পার্টনার! কিন্তু আমাকে ওর ‘বস’ বলতে ভালো লাগে। কী করতে পারি? সবটাই ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা থেকে একটা সম্বোধন। আসলে এতদিনের সম্পর্ক। কতটুকুই বা কথায় প্রকাশ করা যায়। এটুকু জানি, শিবু আমার জীবনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজকে ৫০-এ পা রাখল শিবু। আমার মনে হয়, সেই সঙ্গে ওর কেরিয়ারের সোনালি দিনেরও সূত্রপাত ঘটল। কারণ আমি এখনও ওঁর সেরা কাজের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করি, আগামী দিনেও যেন সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছয় শিবু এবং ওঁর সমস্ত স্বপ্নপূরণ হোক।" জন্মদিনে ভাইকে শাসন করতে হলে কী বলতে চাইবেন? এপ্রসঙ্গে নন্দিতা রায় বললেন, "আমায় যদি শিবুকে শাসন করতে হয়, আমি একটাই কথা বলব- মাথা ঠান্ডা রাখতে এত হাইপার না হতে।"
[আরও পড়ুন: ‘ভোট না দিলেই ট্যাক্স বাড়ানো হোক’, ‘বাবু ভাইয়া’ পরেশের ‘শাস্তি’র নিদানে শোরগোল]
এদিকে জন্মদিন মানেই রকিমারি পদে ভোজ। আর বন্ধুমহলে শিবপ্রসাদ 'ভোজনরসিক' বলে পরিচিত। মাছ খেতে ভীষণ ভালোবাসেন। আর সেকথা মাথায় রেখেই শিবপ্রসাদের জন্মদিনে রকমারি মাছের পদে গুছিয়ে মেন্যু সাজিয়েছেন স্ত্রী জিনিয়া সেন। কী কী রয়েছে? জিনিয়া জানালেন, ইলিশের নানারকমের পদ রয়েছে। শিবুদা আসলে ইলিশ খেতে এত ভালোবাসে, তাই বাহারি পদ রাঁধা। তার সঙ্গে শুক্তো, পাঁচ রকমের ভাজা, তোপসে ফ্রাই এবং মাছের মাথা দিয়ে ডাল থেকে শেষপাতে পায়েস- এটা দুপুরে মেন্যু। আর রাতে বাইরে কোথাও একটা খাব সবাই মিলে। আসলে নন্দিতাদির পরিবারের সকলে মুম্বই থেকে এসেছেন ওঁর জন্মদিনের জন্যই। তাই একটা স্পেশাল গেট টুগেদার প্ল্যান করেছি। সারপ্রাইজ একটা প্ল্যানও রয়েছে। তবে সেটা এখনই ভাঙছি না। সেটা শিবুদা সন্ধেতেই পাবে।"