সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শিল্পা শেট্টির (Shilpa Shetty)! মাস খানেক আগেই স্বামী রাজ কুন্দ্রার (Raj Kundra) ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। শিল্পা শেট্টির নামে থাকা বিলাসবহুল বান্দ্রার ফ্ল্যাটও হাতছাড়া হয়েছে। সেই আইনি জটের মাঝেই এবার নতুন খবর, রাজ-শিল্পার তিন কোটি টাকার নতুন বিলাসবহুল গাড়ি।
হাজার কোটির দুর্নিতি, ইডির মামলা, যাবতীয় আইনি জটের মাঝেই তিন কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ির কিনে ফের চর্চার শিরোনামে রাজ কুন্দ্রা এবং শিল্পা শেট্টি। তারকা দম্পতির জুহুর বাংলো থেকেই নতুন ওই স্টার-বাহনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। যা কিনা সোশাল পাড়ার দৌলতে দাবানল গতিতে ভাইরাল হতেও সময় নেয়নি। সেখানেই দেখা গেল সেই কোটি টাকার গাড়ি থেকে ছেলে ভিভানকে নিয়ে নামছেন রাজ কুন্দ্রা। ইডি যেখানে তাঁদের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, সেখানে এমন বিলাসবহুল গাড়ি দেখে ভ্রু কুঁচকেছেন অনেকেই! তাঁদের প্রশ্ন, 'ইডি পিছনে ছুটছে, তারপরও এত দেখনদারি?' কারও বা মন্তব্য, 'এগুলো তো দুর্নীতির টাকাতেই বিলাসিতা।' এককথায় রাজ-শিল্পার তিন কোটি টাকার সবুজ গাড়ি নিয়ে এখন চর্চার অন্ত নেই।
প্রসঙ্গত, আইপিএল বেটিং, নীলছবি মামলায় রাজ কুন্দ্রার নাম উঠেছিল আগেই। এবার ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামের আর্থিক তছরুপ মামলাতেও নাম জড়িয়েছে রাজ কুন্দ্রার (Raj Kundra)। যার জেরে স্থাবর-অস্থাবর সব মিলিয়ে রাজ-শিল্পার প্রায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। এর মধ্যে জুহুর সমুদ্রমুখী বিলাসবহুল বাংলোও রয়েছে। যে বাংলো কিনা অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির (Shilpa Shetty) নামে কেনা। সেই তালিকায় জুহুর পাশাপাশি তারকাদম্পতির পুণের প্রাসাদোপম বাংলোও রয়েছে। রাজ কুন্দ্রার নামে কিছু ইক্যুয়িটি শেয়ারও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
[আরও পড়ুন: ‘দাদা-বউদি’র ডেট নাইট! সোনাক্ষী-জাহিরকে দেখেই কী কাণ্ড ঘটালেন পাপারাজ্জিরা?]
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি পুলিশের কাছে ভ্যারিয়েবল টেক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। অমিত ভরদ্বাজ, বিবেক ভরদ্বাজ, সিম্পি ভরদ্বাজ, মহেন্দ্র ভরদ্বাজ-সহ আরও বেশ কয়েক জনের নাম উঠে আসে অভিযুক্ত হিসেবে। বিটকয়েনে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা তোলেন অভিযুক্তরা। শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ৬,৬০০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল বলে জানা যায়। যাঁদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়, তাঁদের প্রতি মাসে বিটকয়েনে ১০ শতাংশ টাকা রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। ক্রিপ্টো সম্পত্তি গড়ে তোলার লোভে অনেকেই টাকা ঢালেন ওই সংস্থায়। কিন্তু ওই সংস্থা সকলকে ঠকানোয় একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই মামলার তদন্তে নেমে রাজের সঙ্গে ওই সংস্থার সংযোগ খুঁজে পায় ইডি। জানা গিয়েছে, অমিতের থেকে ২৮৫টি বিটকয়েন পেয়েছিলেন রাজ। ইডি সূত্রে খবর, গোটা দুর্নীতি চক্রের মাথা ছিলেন অমিত। নিরীহ মানুষকে টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছিলেন তিনি। সেই বিটকয়েনই পরে রাজের কাছে যায়, বর্তমানে যার বাজারদর প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। সেই প্রেক্ষিতেই রাজের ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।