সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে মুখরক্ষা হলেও বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না প্রধান জোট শরিক শিব সেনা। গতকালই নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পর বিজেপিকে তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ৫০-৫০ ফর্মুলা প্রয়োগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। শুক্রবার দলের মুখপত্র ‘সামনা’য় ফের বিজেপিকে নাম না করে কটাক্ষ করেছে শিব সেনা। মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, এই ফল কোনওমতে ‘মহা জনাদেশ’ নয়। এবং যাঁরা ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে রয়েছে তাঁদের মুষ্ঠিতে প্রচণ্ড আঘাত।
উল্লেখ্য, ২৮৮টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০০টি এলাকায় ‘মহা জনাদেশ যাত্রা’ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। ফল ঘোষণার একদিন আগেও তিনি প্রত্যয়ের সুরে বলেছিলেন, এনডিএ জোট ২০০’র বেশি আসন পাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বিজেপি-শিব সেনা জোট পেয়েছে ১৬১টি আসন। বিজেপি গতবার পেয়েছিল ১২২টি আসন, এবার তা কমে হয়েছে ১০৫। অন্যদিকে, গতবার শিব সেনা একা লড়ে পেয়েছিল ৬৩টি আসন। এবার জোটে থেকে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬। এই ফলকে সামনে রেখেই মুখপত্রে লেখা হয়েছে, বিরোধীদের ঘর ভেঙে-দলবদলে নির্বাচন জেতা যায় সেই ধারণাকে নাকচ করেছে এই জনাদেশ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি এবং শিব সেনার শক্ত ঘাঁটিতেও থাবা বসিয়েছে কংগ্রেস-এনসিপি জোট তাতে স্পষ্ট যে রাজনীতিতে বিরোধীশক্তিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে মুখরক্ষা বিজেপির, মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে শরিক শিব সেনা]
বিজেপি যেভাবে এনসিপি’র ঘর ভেঙে নির্বাচনে দলবদলের খেলা খেলেছে তা মানুষ ভালভাবে নেয়নি। সেই কারণে লোকসভা নির্বাচনে সাতারা থেকে এনসিপি’র টিকিটে জিতে বিজেপিতে যোগ দেওয়া উদয়নরাজে ভোঁসলে উপনির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। যাঁকে টিকিট দেওয়া ভুল হয়েছিল বলে সম্প্রতি সাতারাতে দাঁড়িয়ে স্বীকার করেছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের বংশধর উদয়নরাজের এই আচরণ সাতারার মানুষ ভালভাবে নেয়নি। মুখপত্রে প্রকাশিত, ফড়ণবিস নিজেকে যতই কুস্তিগির বলুন না কেন, এবারের যুদ্ধে পওয়ার নিজেকে বেশি শক্তিশালী প্রমাণ করতে পেরেছেন। নাম না করে ফড়ণবিসকে দাম্ভিক আখ্যা দিয়ে মুখপত্রের দাবি, মহারাষ্ট্রের মানুষ ক্ষমতার দম্ভ পছন্দ করে না। এই দম্ভের কারণেই ছোট দলগুলি ২০-২৫টি আসন বেশি পেয়েছে বলে কটাক্ষ ‘সামনা’র।
The post ‘ক্ষমতার অহংকার’, নাম না করে ফড়ণবিসকে কটাক্ষ শিব সেনার appeared first on Sangbad Pratidin.