রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: একসময়ে দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁর ঘর ছিল। একসময়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়কও ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু কালের নিয়মে সেই দিল্লি ছেড়ে দিতে হয় শ্রেয়সকে। কলকাতার টিম কেকেআর হয় তাঁর নতুন ঠিকানা। যে ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে শুধু সম্মান দেয়নি, একই সঙ্গে অধিনায়কও করে দিয়েছিল। শ্রেয়সের অধিনায়কত্বেই তো কেকেআরের তিন নম্বর আইপিএল ট্রফি জয়, গত মে'র চিপকে।
সেই শ্রেয়স সবকিছু ঠিকঠাক চললে হয়তো নিজের পুরনো 'ধাত্রীভূমি'তে ফিরতে পারেন। অর্থাৎ দিল্লি ক্যাপিটালসে। আসলে কেকেআর এবং দিল্লি দুটো ফ্র্যাঞ্চাইজিরই রিটেনশন নীতি এবছর আলাদা। বিপুল অর্থ ব্যয় করে শ্রেয়সকে রিটেন করতে চায়নি কেকেআর। বুধবার রাত পর্যন্ত নাইটদের যা রিটেনশন লিস্ট, তাতে শ্রেয়সের নাম নেই। নিলামে সম্ভবত রাইট টু ম্যাচ কার্ডও শ্রেয়সের জন্য ব্যবহার করবে না কেকেআর।
ওদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসে সাময়িক মালিকপক্ষের বদলের কারণে সেখানেও প্রচুর ওলট পালট চলছে। আগামী দুবছরের জন্য নতুন যে মালিকপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালসের দেখাশোনা করবে, তারা আবার ঋষভ পন্থকে রাখতে রাজি নয়। এদিন রাত পর্যন্ত দিল্লির যা রিটেনশন লিস্ট, তাতে অক্ষর প্যাটেল আছেন। কুলদীপ যাদব আছেন। ট্রিস্টিয়ান স্টাবস আছেন। আনক্যাপড প্লেয়ার হিসাবে বাংলার অভিষেক পোড়েলও আছেন। নেই শুধু পন্থ। তিনি যে নিলামে উঠছেন সেটা মোটামুটি নিশ্চিত।
অনেকগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি পন্থকে পাওয়ার জন্য নিলামে ঝাঁপাবে। দিল্লি আবার টার্গেট করে রেখেছে নিজেদের পুরনো অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে ইতিমধ্যেই দিল্লির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বিশাল অঙ্ক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখা হয়েছে। আর তাই আগামী আইপিএলে যদি দিল্লি অধিনায়কের আর্মব্যান্ড হাতে শ্রেয়সকে নেমে পড়তে দেখা যায়, অবাক হওয়ার থাকবে না।