সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজের (Prayagraj) নদীতীরে বালির মধ্যে রাশি রাশি করোনায় (Coronavirus) মৃতদেহ দেহ পুঁতে রাখার খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। একে তো নদীতে ভাসতে থাকা মৃতের সারি। তার উপরে দেখা গিয়েছিল বালির মধ্যে জেগে থাকা শয়ে শয়ে মৃতদেহ! সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ড্রোনের সাহায্যে তোলা সেই ভয়াবহ দৃশ্যের ছবি দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। কড়া সমালোচনার মুখে পড়া যোগী সরকার সেই সব মৃতদেহগুলির যথাযথ সৎকার করার উদ্যোগ নিল।
আশঙ্কা রয়েছে মাটিতে পুঁতে রাখা দেহগুলির অধিকাংশই সম্ভবত করোনায় মৃতদের। দরিদ্র পরিবারের লোকেরা ওইভাবেই দেহটি কোনও মতে পুঁতে দিয়েছে। ওই অগভীর কবরগুলির ফলে সংক্রমণ আরও ছড়ানোর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে কোনও মতে চারপাশে বাঁশ দিয়ে ঘিরে গেরুয়া কাপড়ে মুড়ে পুঁতে দেওয়া দেহগুলি টেনে বার করতে শুরু করেছে কুকুররা। আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এর ফলে ভয়াবহ ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
[আরও পড়ুন: ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ! নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে একাধিক প্রশ্নের মুখে CBI]
ওই ছবি সামনে আসার পর থেকেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে যোগী সরকারকে। অবশেষে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজ পুরসভা একটি দল গঠন করেছে। তারা গঙ্গাতীরে ঘুরে ঘুরে গোটা এলাকা তন্নতন্ন করে দেখছে। বৃষ্টির কারণে বহু দেহই কবর থেকে বেরিয়ে এসেছে। মুড়ে দেওয়া কাপড়ও ছিঁড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সেই সব কাপড় ও বাঁশ সরিয়ে সেগুলি গভীর ভাবে বালির নিচে পুঁতে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন পুরসভার কর্মীরা। যে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে মৃতদেহ পুঁতে দেওয়ার রীতি রয়েছে, তাদের অনেককেই সেই মৃতদেহগুলি অন্যত্র কবরস্থ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে যাতে কেউ দেহ কবর না দিতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) নির্দেশে জলপথেও চলছে টহলদারি। যাতে নতুন করে কেউ নদীতে মৃতদেহ ভাসাতে না পারে তা নিশ্চিত করাই ওই টহলদার দলের কাজ।