ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খানের শারীরিক অবস্থার অবনতি। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে। হাসপাতাল সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিল্পীর পালস রেট, অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমেছে। শারীরিক অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক যে কাজ হচ্ছে না ভেন্টিলেশনেও। জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ড আলোচনায় বসেছে।
প্রায় দুমাস ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। এমনিতেই প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। তার চিকিৎসাও চলছিল। শোনা যাচ্ছে, এরই মধ্যেই আবার সেরিব্রাল স্ট্রোক হয় তাঁর। তাতেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে ওঠে। বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে শিল্পীর চিকিৎসা চলছে বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: পুরোহিতের মেয়ে নমাজের পর বিরিয়ানি রাঁধছে! আইনি বিপাকে ‘জওয়ান গার্ল’ নয়নতারা]
সূত্রের খবর, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় শিল্পীর একবার স্ট্রোক হয়েছিল। তার পর আবারও সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়। পরিস্থিতি এমন যে ৫৫ বছরের শিল্পীর অস্ত্রোপচার করাও সম্ভব নয়। আপাতত ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে শিল্পীকে। আলাদা মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। অঙ্কোলজিস্ট, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসকরা নিয়মিত তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখছেন।
উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে জন্ম রাশিদ খানের। ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিবের রামপুর-সহসওয়ান গায়কির শিল্পী তিনি। এই ঘরানারই আরেক উস্তাদ নিসার হুসেনের কাছে তালিম নিয়েছেন। যিনি সম্পর্কে তাঁর দাদু ছিলেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভিত হলেও বলিউড ও টলিউডের একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন উস্তাদ রাশিদ খান। এগারো বছর বয়সে রাশিদ তাঁর প্রথম সঙ্গীতানুষ্ঠান করেন।
‘জব উই মেট’ সিনেমায় ‘আওগে যব তুম সজনা’ গানের মাধ্যমে সারা দেশের মন জয় করে নেন উস্তাদ রাশিদ খান। শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় ‘আল্লা হ্যায় রহেম’ গানটি গেয়েছেন শিল্পী। ‘মান্টো’র ‘বোল কে লব আজাদ হ্যায়’ থেকে ‘মিতিন মাসি’র ‘বরসাত সাওয়ান’— প্রত্যেক গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন শিল্পী। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। সেই বছরই সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। ২০২২ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়।